বাজার থেকে সংগ্রহ করা দুধের নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্ট ও ফরমালিনের উপস্থিতি পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গবেষকরা। এ ছাড়া বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের ঘি, ফলের জুস, মরিচ ও হলুদের গুঁড়া, পাম অয়েল, সরিষার তেল ও সয়াবিন তেলের নমুনার বেশির ভাগই মানহীন।
মঙ্গলবার সকালে ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের লেকচার থিয়েটার ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ফল প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ঢাবি ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক আ. ব. ম. ফারুক।
বুধবার ফেসবুকে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন চিকিৎসক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার।
ফেসবুকে তিনি লেখে, 'পাস্তুরিত তরল দুধে ক্ষতিকর জীবাণু থাকে না, কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যেতে পারে।
এই নিয়ে বেশ কিছু দেশে গবেষণা হয়েছে। সেসব দেশেও এটা পাওয়া গেছে।
প্রাণী চিকিৎসকরা প্রাণীর চিকিৎসা করতে প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক দেন। এটা বন্ধ করতে চাইলে এটাও মানতে হবে যে প্রচুর গরু অসুখে মরবে।
যেটা করা যেতে পারে সেটা হলো, অ্যান্টিবায়োটিক চলাকালে দুধ বেচা বা সংগ্রহ করে মিল্ক ভিটা বা প্রাণকে সরবরাহ করা যাবে না।
ডিটারজেন্ট দিয়ে খামারি তার দুধের পাত্র ধোয়। সাধারণত সেখানে সে প্রচুর পানি ব্যবহার করে না কারণ তাকে নলকূপ চেপে পানি তুলতে হয়। তারা সাবান মিশ্রিত একটা চৌবাচ্চায় পাত্র ডোবায় ও তারপর একবার ধুয়ে নেয়।
পাত্রে ডিটারজেন্ট থেকে যায়।
দুধে ওষুধ ও ডিটারজেন্ট পাওয়ার দায় খামারির। কারণ সে জানে কোন গরু ওষুধ পাচ্ছে। সে কম পানিতে পাত্র পরিষ্কার করেছে।
অ্যান্টিবায়োটিক টেস্ট করা সময় সাপেক্ষ। কারখানার গেটে এটা করা সম্ভব না। তাহলে দুধের কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।
একই রকম অ্যান্টিবায়োটিক মাছে ও মুরগিতেও পাওয়া যাচ্ছে। কারণ চাষ করা মাছ , মুরগিতে প্রচুর ওষুধ ব্যবহার করা হয়, এমনকি হরমোনও।
দুধে তবু এক লিটার পরীক্ষা করে ১০০০ লিটারের বিষয়ে বোঝা সম্ভব। ১০০% সঠিক হতে হলে, মাছ ও মুরগিতে একটা একটা করে পরীক্ষা করতে হবে। সেটা আরো কঠিন।
এসব ক্ষেত্রে খামারিরা সচেতন না হলে, আমরা বিপদেই থাকব।'
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন