এই মুহূর্তে দেশীয় টিআরপির দিক থেকে সবার শেষে অবস্থান করছে আনন্দ টিভি। এর আগের দুটি অবস্থানে রয়েছে বাংলা টিভি এবং বিজয় টিভি। ০.২৫, ০.২ এবং ০.১৪ হচ্ছে চ্যানেলগুলোর রেটিং। এই রেটিং নিয়ে কিভাবে চ্যানেলগুলো টিকে আছে সেটাই বিস্ময়ের।
বাংলা টিভি দেশে যাত্রা শুরুর আগে লন্ডনে সম্প্রচারে ছিল। কিন্তু দেশীয় প্রেক্ষাপটে যাত্রা শুরুর পর এটি কিছু করে দেখাতে পারেনি। শুরুতে চ্যানেলটিকে ঘিরে অনেক আগ্রহ ছিল। ঢাকঢোল পিটিয়ে জনবল নিয়োগ শেষে যাত্রাও শুরু হয়েছিল আনুষ্ঠানিকভাবে। কিন্তু সম্প্রচারে আসার কয়েকমাসের মধ্যেই চ্যানেলটি কর্মী ছাঁটাই শুরু করে।
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর চ্যানেল বিজয় টিভি। বর্তমানে তার ছেলে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নওফেল চৌধুরী এর দেখভাল করছেন। কিন্তু এর অবস্থাও ভালো নয়। বেশ কয়েকবার আঙ্গিক বদলের পাশাপাশি জনবলেও পরিবর্তন এসেছে।
আনন্দ টিভি সম্প্রচারিত হচ্ছে ঢাকার মহাখালী থেকে। চ্যানেলটির কর্ণধার পেশায় ব্যবসায়ী। তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কর্মী চ্যানেলটির সঙ্গে যুক্ত নেই।
বাংলা, বিজয় আর আনন্দ আসলে কি সম্প্রচার করে তা কেউ জানে না। প্রায় সব জায়গায় বিজয় দেখা গেলেও আনন্দ আর বাংলা টিভি অনেক দর্শকই দেখতে পান না। ঢাকার অনেক দর্শকই চ্যানেল দুটির নামও জানেন না। একেবারে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার মতো চ্যানেল দুটি তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
যেহেতু দর্শক নেই- তাই চ্যানেলগুলো মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপনও পাচ্ছে না। আর্থিক দুরবস্থায় চ্যানেল তিনটি ধুঁকছে।এ থেকে উত্তরণের উপায় কি আর আসলেই চ্যানেলগুলো নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করতে চায় কি না সেটাই এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
পালাবদল
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন