র্যাম্প, মডেলিং এবং পর্দা সবখানেই সরব পিয়া জান্নাতুল। সরব আইনজীবী ও ব্যবসায়ী হিসেবেও। এ যেন ব্যস্ততার তীরে ক্ষতবিক্ষত এক তারকা। এসব ইস্যু ও অন্যান্য সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন পিয়া। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- শামছুল হক রাসেল
কেমন আছেন?
খুব ভালো আছি। সবার দোয়ায় সবসময় খুব ভালো থাকি। এ ছাড়া জীবনটাও বেশ ভালো চলছে।
বিপিএল শেষ, এবার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
ব্যস্ততা এখন নতুন ব্যবসা নিয়ে। ‘অফিস স্পেস’ নামক একটা কো-ওয়ার্কিং স্পেস শুরু করছি মার্চ থেকে। সেটা এখন গোছাতে ব্যস্ত। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজকর্ম সম্পন্ন হয়েছে এর। তাছাড়া ট্রেসেমে বাংলাদেশের ফ্যাশন উইক হচ্ছে ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি। যেহেতু তাদের শুভেচ্ছাদূত তাই সেখানেও অংশগ্রহণ করছি।
বিপিএলে আপনার উপস্থাপনা নিয়ে অনেকে ট্রল করেছে, বিষয়টাকে কীভাবে নিচ্ছেন?
মানুষ পৃথিবীর সব কাজ বাদ দিয়ে আমাকে নিয়ে কথা বললে ভালোই লাগে। এটাইবা কজনের ভাগ্যে জুটে। কেউ ট্রল করে, কেউ প্রশংসা করে, কেউ আবার নেতিবাচক কথা বলে। এক কথায়, কেউ আলোচনা করে আর কেউ সমালোচনা করে। এতে কিন্তু সবাই জানান দিচ্ছে যে, বিপিএলে আমার উপস্থাপনা সবাই দেখছেন। না দেখলে তো আর ট্রল হতাম না, হতাম না আলোচিত। এসব বিষয় বরাবরই ইতিবাচকভাবে নেই আমি।
মডেল হিসেবে এ পর্যন্ত প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটেছে?
আমি কখনোই ফোকাস হওয়ার জন্য হন্যে হয়ে গণমাধ্যমের পেছনে ঘুরিনি। যা ভেবেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি। এখনো সবার ভালোবাসা পেয়ে যাচ্ছি। তাই বুঝতেই পারছেন প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি বেশি। ভবিষ্যতেও এ প্রাপ্তিটা ধরে রাখতে চাই।
দেশে ও বিদেশে মডেলিংয়ে কোন পার্থক্য বেশি চোখে পড়ে?
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঐতিহ্য আর ধর্ম এনে অনেক বেশি বাধার সৃষ্টি করা হয়। অথচ সবাই চায় কাজটা যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়। আসলে কিছু বাধা থাকবেই। এগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদেরই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আশা রাখি এই বাধা কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা।
মডেলিং করতে গিয়ে পোশাক বিড়ম্বনায় পড়েছেন কিনা?
হা. হা.. হা... অনেক বার। হাঁড়ির সব খবর বের করে দিলে চলবে? এগুলো না হয় পর্দার পেছনেই থাক। এক কথায় বলতে গেলে, কিছুটা না হয় গোপন থাক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন