দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত (এসএমই)। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এই খাতের অবদান ২৫ শতাংশ। দেশের কর্মসংস্থানের ৯০ শতাংশই এ খাতের অবদান হলেও করোনার আঘাতে পড়েছে হুমকির মুখে। ঋণ করে গত দেড় বছরে করোনায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন তছনছ হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী দিনে দেশকে উন্নত করতে হলে এসএমইর বিকল্প নেই। সামগ্রিক মূল্যায়নে এ খাতই অর্থনীতির প্রাণ। কিন্তু এ খাতের উদ্যোক্তাদের দুঃখের যেন শেষ নেই। বৈশ্বিক মহামারী করোনায় অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করলেও বঞ্চিতদের তালিকায় রয়ে গেছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
এ খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, বড়রা যে করেই হোক টিকে থাকার চেষ্টায় কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ছোট অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। আবার ঋণ নেওয়ার আগেই তা পরিশোধ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকেন তারা। যদিও বড় গ্রাহকের অনেকের মধ্যে সে তুলনায় উদ্বেগ কম।কারণ বাংলাদেশে এ যাবৎ বিশেষ ছাড়ে ঋণ পুনর্গঠন ও পুনঃতফসিলের সুবিধাভোগীই বড় গ্রাহক।
অন্যদিকে বরাবরের মতো ব্যাংকারদের মাঝেও ক্ষুদ্র গ্রাহকদের ঋণ দিতে অনীহা রয়েছে। এসএমই উদ্যোক্তাদের অনেকে ব্যাংকে গিয়ে ঋণ পাননি এমন অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও। যদিও ব্যাংকারদের অনেকে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, উপযুক্ত গ্রাহক না পাওয়ায় তারা ঋণ দিতে পারছেন না। কিন্তু বাস্তবে ঘটনা পুরো উল্টো। মাসের পর মাস ব্যাংকের দরজায় ঘুরেও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অনেকে ঋণের আশ^াসটুকুও পাচ্ছেন না।
বিশ^ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, অনেক সময়ই ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রণোদনার ঋণ বিতরণে অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। ব্যাংকাররাও তাদের ঋণ দিতে চান না। কারণ তদারকি খরচ বেশি। ফলে মূলধন সংকটে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এমনকি অনেক উদ্যোক্তা ঋণ নেওয়ার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছেন। গত মৌসুমে যেসব উদ্যোক্তা ঋণ নিয়েছেন তাদের অনেকেরই বৈশাখ ও ঈদে ব্যবসা করতে পারেননি। কিন্তু তাদের সুদ ও কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা হারিয়েছেন। এ জন্য তাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।
পদে পদে ভোগান্তি : ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ পেতে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার দীর্ঘ ভোগান্তির পরও মিলছে না ঋণ সহায়তা। ফলে অনেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। এমনই একজন উদ্যোক্তা তাসনীয়া আজাদ। তিনি প্রণোদনার জন্য কয়েকটি ব্যাংকে গিয়েও প্রণোদনার অর্থ পাননি।
কষ্টে গড়ে তোলা বেইলি রোডের বুটিক দোকানটি বন্ধ হয়ে গেছে করোনায়। টানা লোকসান সামাল দিতে না পারায় কর্মীদেরও ছাঁটাই করতে হয়েছে বুটিক হাউস মানচিত্র-এর উদ্যোক্তা তাসনীয়া আক্তার লাভলীকে। এর পরও হাল ছাড়েননি সংগ্রামী এ নারী। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ঋণের জন্য ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু হতাশ হতে হচ্ছে সবখানে। কথা হলে লাভলী বলেন, এসএমই ঋণের জন্য, সরকার ঘোষিত প্রণোদনার জন্য দেশের দুটি ব্যাংকের বারান্দায় অনেক ছোটাছুটি করেছি। কোথাও কোনো উপায় হয়নি। ব্যাংকে গেলে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়- আমার পুরনো ঋণ রয়েছে কিনা, আগের ঋণ পরিশোধের সমস্যা হচ্ছে কিনা। কিন্তু আমার তো আগের কোনো ঋণ নেই। তা হলে কি আমি ঋণ পাব না? প্রণোদনা সুবিধা পাব না?
আক্ষেপ করে লাভলী বলেন, যারা আগে ঋণ নিয়েছেন তাদেরই যে কেবল করোনায় লোকসান হয়েছে, বিষয়টা তো তা নয়। আমরা যারা আগে ঋণ নিইনি, তাদেরও তো করোনায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমরা তা হলে কোথায় যাব? গত বছরও ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, এবার ঘুরে হতাশ হতে হয়েছে।
রাজধানীর গুলিস্তানের সিটি প্লাজার পোশাকের পাইকারি ব্যবসায়ী ‘বিলাস ফ্যাশনের’ উদ্যোক্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বছর অনেকবার চেষ্টার পর ১৬ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে প্রণোদনা সুবিধা দিতে রাজি হয় বেসরকারি একটি ব্যাংক। কিন্তু দীর্ঘদিন ঘোরানোর পরও প্রণোদনা মেলেনি। সর্বশেষ নানা তদবির করে কিছু প্রণোদনা মিলেছে। তবে কাঠখড় পোহাতে হয়েছে অনেক।
জাহাঙ্গীর বলেন, আগের ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করছি। কিন্তু করোনার লোকসানে আমার ছোট পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। পাইকারি দোকানটা কোনোরকমে চলছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এবারও এসএমই ঋণের আবেদন করেছি কিন্তু ঋণ পরিশোধের মেয়াদ অনেক কম। মাসিক কিস্তির টাকাও সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এসএমই ঋণের মেয়াদ নিয়ে অভিযোগ অনলাইন বুটিক ব্যবসার উদ্যোক্তা নহরে জান্নাত মিষ্টিরও। টাঙ্গাইলের তাঁতপণ্যের বুটিকশপ ‘আরওয়া’-এর এ স্বত্বাধিকারী বলেন, করোনায় ব্যবসার অনেক ক্ষতিসাধন হয়েছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ১০ লাখ টাকা এসএমই ঋণের জন্য আবেদন করি। অনেক কষ্টে পাঁচ লাখ টাকার ব্যবস্থা হলেও ঋণ পরিশোধের মেয়াদ কম হওয়ায় ঋণ নিতে পারিনি। কারণ ২৪ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এত অল্প সময় হওয়ায় মাসিক কিস্তির পরিমাণ আমার সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। এমনিতেই করোনায় মাসিক বিক্রির পরিমাণ কমে গিয়েছে। এসব বিবেচনায় ঋণ আর নিতে পারিনি। আমাদের মতো ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও বাড়ানো উচিত।
এ ছাড়া আরও অনেক ছোট উদ্যোক্তা রয়েছেন যাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ব্যাংকে গিয়েও ফিরে আসতে হচ্ছে হতাশ হয়ে। বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক ছোট উদ্যোক্তারা ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ এসব উদ্যোক্তার সংখ্যাও কম নয়। কারণ করোনাকালে অনলাইনে পণ্য বিপণনে অসংখ্য উদ্যোক্তা গড়ে উঠেছে, যাদের কাছে ট্রেড লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাগজপত্র নেই। এসব ব্যবসায়ী ঋণ সুবিধার অভাবে পুঁজি হারিয়ে অল্প সময়ে ঝরে পড়ছেন।
অনলাইন প্লাটফরমের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে গঠিত ‘উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)’-এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার আমাদের সময়কে বলেন, বর্তমানে অনলাইন প্লাটফরমে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা কম নয়। দেশের অর্থনীতিতে এদের অবদান কম নয়। কিন্তু ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ঋণ পেতে ভোগান্তির সীমা নেই। কারণ অনেকেরই ট্রেড লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজ থাকে না। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি যাতে এসব উদ্যোক্তাকে ক্যাশ অন ডেলিভারির বিপরীতে ঋণ দেওয়া গেলে ভালো হয়।
করোনায় টানা লোকসানের মুখে গত বছর পুঁজি হারিয়ে অর্থকোটিরও বেশি ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, এ বছরও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকেই ব্যবসা হারানোর পথে রয়েছেন। এদের সিংহভাগেরই ব্যবসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। অনেকের ব্যাংক হিসাবই নেই। সুতরাং এরা ব্যাংক ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে যাদের কাগজপত্র রয়েছে তারাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
প্রণোদনা প্যাকেজের টাকা পায়নি ৭৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান : করোনা সংকট কাটিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের টাকা পায়নি ৭৯ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কোনো টাকাই পায়নি। ১৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে জানেই না। বাকি ২১ শতাংশের মতো প্রতিষ্ঠান প্রণোদনার অর্থ পেয়েছে। বড়দের তুলনায় ছোট প্রতিষ্ঠান প্রণোদনা প্যাকেজের টাকা কম পাচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) ‘কোভিড-১৯ এবং বাংলাদেশে ব্যবসায় আস্থা’ শীর্ষক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে সানেম বলেছে, প্রণোদনা প্যাকেজের টাকা দিতে কারও কারও কাছে ঘুষও চাওয়া হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তাদের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য : বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিতে পারে না। অনেকের ট্রেড লাইসেন্স নেই। এমনকি অনেকেরই ব্যাংক হিসাব নেই। ফলে তাদের অর্থায়ন করা কঠিন। তবে তাদের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন বা বিসিক অর্থায়ন করে থাকে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে প্রকৃত ঋণভোগীদের প্রভাব না থাকায় ঋণ পান না। এটি একটি কাঠামোগত সমস্যা। অন্যদিকে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার ঋণ পেতে ভোগান্তির কথা শোনা যায়; কারণ এ ধরনের উদ্যোক্তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। ফলে তাদের তদারকি খরচ বেশি। আগে এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা বেশি সুদে ঋণ পেতেন। কিন্তু সুদের হার ৯ শতাংশ বেঁধে দেওয়ায় ব্যাংকার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আমাদের সময়কে বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এ সমস্যা পৃথিবীজুড়েই। এসএমই একটি বড় বাজার। কিন্তু সেখানে ঝুঁকিও বেশি। এ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি দরকার। যেটি আমাদের অনেকাংশেই নেই। তবে কোনো কোনো ব্যাংক এ ক্ষেত্রে ভালো করছে। ফলে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া সরকার সুদের হার বেঁধে দেওয়ায় এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। ঝুঁকি যেখানে বেশি সেখানে রিটার্ন বেশি দরকার। সেটি সরকার বিবেচনায় নিতে পারে।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, গত দেড় বছরে কোভিড মহামারী ও লকডাউনসহ বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মাঝে কোভিড পরিস্থিতির একটি প্যাটার্ন লক্ষ করা যায়। সে ক্ষেত্রে এই প্যাটার্নকে মাথায় রেখে এলাকা ও খাতভিত্তিক প্রোটোকল গ্রহণ করা জরুরি। বিভিন্ন প্রোটোকল বাস্তবায়নে প্রশাসননির্ভর সিদ্ধান্ত না নিয়ে সব স্টেকহোল্ডার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শ্রমিক ইউনিয়ন ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের মাঝেই কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা যায় সেটি দেখতে হবে।
ব্যাংকারদের বক্তব্য : রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান আমাদের সময়কে এ বিষয়ে বলেন, আমাদের তরফ থেকে প্রণোদনার অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রথম দিকে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ দেরি হলেও এখন সমস্যা নেই। প্রথমদিকে উদ্যোক্তাদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা ছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো সবাই এ খাতে ঋণ বিতরণ করছে। তিনি বলেন, হয়তোবা চাহিদার তুলনায় কম। এ জন্য অনেকেই ঋণ পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বড় ঋণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সব ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকের কাছে জমা দিয়ে থাকেন। ফলে এরা সহজেই ঋণ পাচ্ছেন। যারা যথাযথভাবে কাগজপত্র সরবরাহ করতে পারছেন না তারা ঋণ পাচ্ছেন না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের পারফরম্যান্স দেখে অনেক ব্যাংক আগে ঋণ দিচ্ছে। একজন প্রকৃত ব্যাংকারের কাছে কে বড় কে ছোট ব্যবসায়ী তা দেখার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে বৈষম্যের সুযোগ নেই।
এসএমই ফাউন্ডেশনের অবস্থান : দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ৮০ লাখেরও বেশি উদ্যোক্তা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১ শতাংশের কাছে প্রণোদনার ঋণ বিতরণ সম্ভব হয়েছে। বাকি ৯৯ শতাংশ উদ্যোক্তাই এ সুবিধার বাইরে রয়েছে।
এ বিষয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, এ খাতে তহবিলের সংকট রয়েছে। প্রণোদনা খাতের ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ৯৫ হাজার উদ্যোক্তার মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু যা মোট উদ্যোক্তার ১ শতাংশ মাত্র। তিনি বলেন, প্রণোদনা সুবিধার বাইরে রয়েছেন ৯৯ শতাংশ উদ্যোক্তা। এ জন্য ফান্ড বাড়ানো দরকার। তিনি আরও বলেন, দেশের জিডিপিতে এ খাতের অবদান বাড়ালে তৈরি হবে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। বাড়বে কর্মসংস্থান। যার প্রভাব পড়বে দেশের মূল অর্থনীতিতে। এ জন্য ফান্ড বাড়ানো দরকার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন