বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো মোট ২ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন করেছে। ১৮ হাজার ১৫৩টি লেনদেনের নথি বিশ্লেষণ করে ফিনসেন ফাইল দেখিয়েছে কিভাবে সন্দেহজনক অর্থ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করা হচ্ছে। ব্লাজফিড নিউজ
ফিনসেনে বাংলাদেশ থেকে এই সময়ে সন্দেহজনক ৮টি লেনদেনের খবর উঠে আসে। এই লেনদেনগুলো ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, রুপালি ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে হয়েছে। বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাংলাদেশে এসেছে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৩ মার্কিন ডলার এবং পাঠানো হয়েছে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ২০৪ মার্কিন ডলার।
এর মধ্যে ৩টি লেনদেনের মাধ্যমে ইসলামি ব্যাংকে গ্রহণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৩ মার্কিন ডলার। ৪টি লেনদেনের মাধ্যমে রুপালি ব্যাংক থেকে পাঠানো হয়েছে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ২০৪ ডলার, একটি লেনদেনের মাধ্যমে সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকে গ্রহণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬০০ ডলার।
এই লেনদেনগুলো ফিনসেনের সন্দেহজনক লেনদেনের তালিকাভূক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক মেলকন কর্পো ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড পিএলসির মাধ্যমে হয়েছে। নিউইয়র্ক মেলকন থেকে ৩টি লেনদেনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৩ ডলার, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড পিএলসি থেকে ৫টি লেনদেনের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ২০৪ ডলার ও গ্রহণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬০০ ডলার।
এই অর্থ বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো তিনটি দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া এন্ড নিউজিল্যান্ড ব্যাংকিং থেকে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৩ মার্কিন ডলারের ৩টি লেনদেন হয়েছে। একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর রুপালি ব্যাংক থেকে ডয়েচে ব্যাংক এজিতে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৪ ডলারের ১টি লেনদেন হয়েছে। একই দিনে ৩৯ হাজার ডলারের আরেকটি লেনদেন হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর দুই ব্যাংকের মধ্যে ২ লাখ ৭৫০ ডলারের ১টি এবং ১৯ হাজার ৫০০ ডলারের ১টি লেনদেন হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল লাটভিয়ার রিজিওনালা ইনভেস্টটিসিজু ব্যাংকা থেকে সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকে ১ হাজার ৬০০ ডলারের লেনদেন হয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের নজরদারী সংস্থা ফিনেন্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক (ফিনসেন) এ উঠে আসে, অর্থের উৎস জালিয়াতিপূর্ণ জেনেও এই অর্থ লেনদেনে অনুমতি দিয়েছে ব্যাংকগুলো। ব্যাবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা কিভাবে কর ফাঁকি দেন ও অর্থ পাচার করেন তা এই ফাইলে উঠে এসেছে। তবে সন্দেহজনক লেনদেনের নথিগুলোকে সম্পূর্ণভাবে বেআইনি আখ্যা না দিয়ে সাসপিসিয়াস অ্যাকটিভিটি রিপোর্টস বা এসএ আর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন