করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজধানী ঢাকাকে যেকোনও সময়লকডাউন করা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে এই মহানগরীকে আংশিক বা পুরোপুরি লকডাউন করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতির বড় শক্তি গার্মেন্টস শিল্প নাজুক অবস্থায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশের সব গার্মেন্টস কারখানা বন্ধের দাবি তুলেছেন এই শিল্পের শ্রমিক নেতারা।
তবে গার্মেন্টস মালিকরা কারখানা চালুর পক্ষে। তারা মনে করেন, গার্মেন্ট বন্ধ হলে বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের পাশাপাশি সমাজে একধরনের অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে দেশি-বিদেশি ফান্ড গঠনসহ নানা ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছেন তারা। অর্থনীতিবিদসহ বিশ্লেষকরাও প্রায় একই কথা বলছেন। তাদের মতে, বর্তমান সংকটের সময়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাশালী কমিটি করা দরকার। তারা পরিস্থিতির যথাযোগ্য বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনে সহযোগিতার প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তবে গার্মেন্টস বন্ধ হোক বা না হোক, এই দুর্যোগে বেতন-বোনাস যথা সময়ের মধ্যে নিয়ম মেনে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইন বাবু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শামা শনিবার (২১ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে এই শিল্প রক্ষায় অবিলম্বে সব কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা এবং সবেতন ছুটি দিতে সরকার ও মালিক পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম-এর সভাপতি ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশুও একই মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তত ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব গার্মেন্টস বন্ধ রাখা উচিত। আর যদি কারখানা বন্ধ না দেওয়া হয়, তবে কারখানা ভেতরের ও বাইরের পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তবে গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, করোনার কারণে একদিকে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ, অন্যদিকে প্রতি ঘণ্টায় রফতানি অর্ডার বাতিল হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে অনেক পোশাক কারখানা এমনিতেই বন্ধের উপক্রম হবে।
এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘আমরা গার্মেন্টস চালু রাখার পক্ষে। তবে যেভাবে প্রতিদিন অর্ডার বাতিল হচ্ছে, এছাড়া আমদানি কাঁচামাল সংকট, তাতে গার্মেন্টস চালু রাখাই কষ্টকর।’ তিনি উল্লেখ করেন, এমন সময়ে অর্ডার বাতিল হচ্ছে যখন সামনে ঈদ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বড় বড় কারখানাগুলো এখনও চালু আছে বলেও জানান তিনি।
বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্ডার বাতিল হচ্ছে। শনিবার (২১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ২৬৪টি কারখানার অর্ডার বাতিল হয়েছে। শুধু অর্ডার বাতিলই নয়, রফতানিও ভয়ঙ্করভাবে কমে যাচ্ছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, আর্থিক সংকটের কারণে গত ১৪ মাসে (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি) বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ১০৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় এ বছরের ১৮ মার্চ তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৪১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ১৯ মার্চ কমেছে ১২ দশমিক ০২ শতাংশ। আর আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ২০ মার্চ কমেছে ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীও মনে করেন কারখানা বন্ধ হলে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিক—দুই পক্ষই ক্ষতির মুখে পড়বেন। তিনি বলেন, ‘এ জন্য গার্মেন্টস বন্ধ না করে বরং কারখানার ভেতরেই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। গার্মেন্টস বন্ধ হলে শ্রমিকদের মধ্যে বেতন-বোনাস নিয়ে একধরনের অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। আর এই ধরনের পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে গার্মেন্টস শিল্প টিকিয়ে রাখতে আর্থিক সহযোগিতা দরকার। এ ছাড়া কোনও সমাধানে আসা যাবে না। বিশেষ করে যেসব মালিক আর্থিক সমস্যায় আছেন, তাদের আর্থিক সহযোগিতা দ্রুত দরকার। কারণ, ইতোমধ্যে অর্ডার কমে যাচ্ছে, রফতানি কম হচ্ছে, কিন্তু খরচ কমছে না। এ কারণে আর্থিক সংকটে পড়ে যাতে কোনও কারখানা বন্ধ না হয়, অথবা কোনও শ্রমিকের বেতন যাতে বন্ধ না হয়, সে ব্যাপারে সরকারের কাছে আমরা সহযোগিতা চাইবো।’ এক্ষেত্রে এই সেক্টরের জন্য দেশি-বিদেশি একটি ফান্ড গঠন দরকার বলেমত দেন তিনি।
সালাম মুর্শেদী বলেন,এ ছাড়া এ খাতে প্রণোদনা দিতে আগে থেকেই কিছু ফান্ড আছে। ওই ফান্ড থেকে জরুরি ভিত্তিতে ছাড় দেওয়া উচিত। এর বাইরে যেসব মালিক শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছেন না, পরিস্থিতি সামাল দিতে আপদকালীন ফান্ড গঠন করে সেখান থেকে তাদের জরুরিভিত্তিতে প্রণোদনা দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আপদকালীন ফান্ড করা সম্ভব হলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতার কোনও সমস্যা হবে না। বিশেষ করে যাদের কাজ আছে, তারা কারখানা খোলা রাখবেন, খোলা থাকলে শ্রমিকরা ভালো থাকবেন। কারণ, তারা হাত ধুয়ে ধুয়ে কাজ করবেন।’
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গার্মেন্টস বন্ধ হোক বা না হোক, এই দুর্যোগকালীন বেতন-বোনাস যথা সময়ের মধ্যে নিয়ম মেনে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুচেয়ার প্রফেসর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘গার্মেন্টস চালু থাকুক বা না থাকুক শ্রমিকের বেতন পৌঁছে দিতে হবে। তবে সবার আগে কারখানা মালিকদের দেখতে হবে শ্রমিকরা যাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হন।’ তিনি বলেন, ‘দুর্যোগে-দুঃসময়ে বরাবরই জেগে উঠেছে এদেশের সাহসী মানুষ। এবারেও আশা করছি তেমন মানবিক সাড়া মিলবে। শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে চলবে না, সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই কার্যকরী করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিকদের বেশকিছুদিন থাকা-খাওয়ার জন্য বিশেষ আর্থিক সহযোগিতা দিতে হবে, বেতন দিতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বেতন-বোনাস দেওয়ার পরামর্শ দেন, যাতে কেউ দুর্নীতি করতে না পারে।
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘বস্তিবাসী কর্মজীবী মানুষ ও খুদে ব্যবসায়ীদের জন্য চাল-ডালের প্যাকেট স্থানীয় কমিশনাররা দিতে পারেন। এসবের জন্য সরকার বড় অঙ্কের একটা তহবিল গঠন করতে পারে। বাড়তি নোট ছাপিয়ে এই তহবিল করলেও মূল্যস্ফীতির ভয় নেই। কেননা, তেলের দাম কমে গেছে। আমদানিও কমতির দিকে। উন্নয়ন বাজেটের কিছু কাটছাঁট করে সামাজিক সুরক্ষা ব্যয় বাড়ানো দরকার।’
ড. আতিউর বলেন, ‘ব্যাংক, বীমা ও করপোরেট হাউজগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নিশ্চয় তাদের কর্মীদের জন্য হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি আরও শীথিল করে বাজারে তারল্য বাড়াতে পারে। এসএমই খাত, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা ও তরুণ ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের জন্য ৩-৪ শতাংশ হারে রিফাইন্যান্সের ব্যবস্থা নিশ্চয়ই করতে পারে। ৬ শতাংশ সুদ ভর্তুকি দিলেই তা সম্ভব। এই দুঃসময়ে সরকার নিশ্চয়ই এই কর্মসূচিকে স্বাগত জানাবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা তহবিল অবশ্যই গঠন করতে পারে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক নিজের এবং অন্যান্য ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধ তহবিল থেকে দুঃখী মানুষের দুঃখ মোচনে উদ্যোগী হতে পারে।’
তিনি উল্লেখ করেন, সারাবিশ্বেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন তাদের সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কেন পারবে না? সময়টা খুবই অস্বাভাবিক। এমন সময় ‘আউট অব বক্স’ চিন্তা ও কর্মই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্পের বর্তমান সংকটের সময়েপ্রধানমন্ত্রীর অফিস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিজিএমইএ-কে নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাশালী কমিটি করা দরকার। এই কমিটি বর্তমান অবস্থার যথাযোগ্য বিশ্লেষণ করবে এবং একটি সহযোগিতার প্যাকেজ ঘোষণা করবে। এই সহযোগিতার প্যাকেজের জন্য একটি তহবিল দরকার, যেখানে সরকার এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী যেমন বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা অবদান রাখতে পারে। এর পাশাপাশি দরকার জানা যে, কোনকোন কারখানা বেশি সমস্যার মধ্যে আছে এবং সেই অনুযায়ী তাদের মধ্যে তহবিল বণ্টন করা যেতে পারে।’
শুধু গার্মেন্টস খাতই নয়, বিমান পর্যটনসহ যেসব খাত ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে সেসব খাতের কথা মাথায় রেখে সরকারকে আগামী ৬ মাসের জন্য একটি অর্থনৈতিক ঝুঁকি বাজেট প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বিমান ও পর্যটন খাত। আর বড় খাতের মধ্যে গার্মেন্টস খাত এখন বিপদে পড়েছে। এছাড়া আরও অনেক খাতই বিপদগ্রস্ত। এ জন্য সরকারকে আগামী ৬ মাসের জন্য একটি অর্থনৈতিক ঝুঁকির প্রাক্কলন করে সে অনুযায়ী বরাদ্দ দিতে হবে। তবে সবার আগে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া অতিজরুরি।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া যেসব কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা শ্রমিক ছাঁটাই বেড়ে যেতে পারে অথবা শ্রমিক নেওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা শ্রমিকদের বেতন বন্ধ হয়ে যেতে পারে—এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর লক্ষ্যে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের নিজস্ব অর্থে অথবা দাতাসংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে সম্ভাব্য সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।’
সিপিডি শনিবার একমিডিয়া ব্রিফিংয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অর্থনীতির সব খাতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সতর্ক করেছে। তাদের মতে, উৎপাদন, আমদানি-রফতানি, স্বাস্থ্য খাত, অর্থায়ন, পর্যটন, প্রবাসী আয়, রাজস্ব, অনানুষ্ঠানিক খাত, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সব শেষে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে গার্মেন্টস বন্ধ থাকবে, নাকি চালু থাকবে তা নিয়ে শনিবার থেকে সরকারের সঙ্গে গার্মেন্টস মালিকদের দফায় দফায় বৈঠক চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি। এ নিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, মিল-কারখানা বন্ধ করতে হবে এই চিন্তা যেন কারও মাথায় না আসে। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। এ নিয়ে আগামী সোম (২৩ মার্চ) অথবা মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘প্রতিবেশী ভারতের মতো আমরাও কারখানা চালু রাখার পক্ষে। তবে এখন ব্যবসা নেই, নতুন অর্ডার নেই। উল্টো পুরনো অর্ডার বাতিল হয়ে যাচ্ছে, টাকা খরচ করে পণ্য রেডি করেছি, অথচ অর্ডার স্থগিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা আমরা আশা করছি। সরকারের সহযোগিতা পেলে আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবো ইনশা আল্লাহ।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন