করোনা ভাইরাসে অজুহাতে রংপুরে হঠাৎ করে চাউলের বাজার ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় বিপদে পড়েছে দিনমজুর ও সাধারণ মানুষ। গত ৪ দিনে আগেও যে চাউলের দাম ছিল তা বেড়ে গেছে কেজিতে ৪ থেকে ৮টাকায়। চাউলের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ না থাকলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন চাউলের মোকামে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরেজমিনে রংপুর সিটি করপোরেশন বাজারসহ মাহিগঞ্জের চাউলের পাইকারী বাজার ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
মোটা চাউল বিশেষ পদ্ধতিতে মেশিনে চিকন করায় এখন মোটা চাউল বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। তবে মাঝারি ধরনের চাউল বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০টাকায় যা গত দু’দিন আগে ছিল ৪৪টাকা কেজি। একইভাবে মিনিকেট চাউল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায় যা ছিল ৫০টাকা। স্বর্ণা জাতের চাউল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় যা ছিল ৩১ টাকায়। সব চেয়ে স্বর্ণার দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে। এই চালের বাজারে ক্রেতা বেশি থাকায় দামও বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এ নিয়ে রংপুরেরর মাহিগঞ্জের কোন চাউলের আড়তদার কথা বলতে রাজি হননি।
তবে রংপুর সিটি করপোরেশন বাজারের চাউল ব্যবসায়ী সবুর আলী, মোজাম্মেল ও আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন তারা বেশি দামে চাউল কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। চাউলের মোকামে দাম কম হলে তারাও কম দামে বিক্রি করবেন।
তিনি বর্তমান চাউলের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে বলেন চাউলের দাম আরও বেড়ে যাবে বলে চাউলের আড়তদাররা তাদের জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয় দাম বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের। বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি যা দু’দিন আগেও ছিল ৫৮টাকায়। একইভাবে মোটা মসুর ডাল কেজিতে বেড়েছে ১০টাকা যা ছিল ৫৫টাকায়। চিকন জাত মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৩০টাকায়। যা ছিল ১১০টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বেড়েছে কেজিতে ৭টাকা। ছিল ৮৮টাকায়। ৫ লিটারের জার বিক্রি হচ্ছে ৫১০ টাকায়। দু’দিন আগেও যার দাম ছিল ৪০০টাকা। লিটারে বেড়েছে ১০২ টাকা।
নবাববগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জানান, চালসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী নয়।
রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এনামুল কবির জানান, ভোক্তা অধিকার রক্ষায় জেলা প্রশাসন মাঠে রয়েছে। কেউ বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে জরিমানার আওতায় নেওয়া হবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন