চলতি মাসের শুরু থেকে বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক হারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ৪০-৫০ টাকার থেকে হঠাৎ করে ১০০ টাকায় পৌঁছায় পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম। পেঁয়াজের সেই ঝাঁজ এখনও কমেনি। এরই মধ্যে দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আর কোন এলসির বিপরীতে ভারত থেকে কোন পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা এ আদেশ জারি করেছে।
পেঁয়াজের দাম নিজেদের বাজারে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এবার পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। ওয়ান ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁয়াজের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মোদি সরকার।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশিদ ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে জানান, পেঁয়াজ সংকটের অজুহাতে ভারত সরকার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এসংক্রান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর ভারতের কাস্টমস কর্মকর্তারা বেলা ৪টা থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি পুরপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নাজমুল হক চৌধুরী জানান, পূর্বের টেন্ডার হওয়া এলসির বিপরিতেও কোন পেঁয়াজ রফতানিতে অনুমতি দিচ্ছেনা ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যদিও আজ রবিবার দিনের প্রথমদিকে এবন্দর দিয়ে ১৫টি ট্রাকে প্রায় সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। ভারত সরকারের এ হঠকারি সিদ্ধান্তে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে দেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের।
ভারত সরকার এমন সময় এই সিদ্ধান্ত নিলো যার ৩-৪ দিন আগে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন