প্রতিনিয়তই বাড়ছে সোনার দাম। শুধু চলতি মাসেই সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ৩ বার। ভারতের মত দেশে যখন সোনার দাম ২৯–৩১ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে তখন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে সোনার দাম শুনলে আঁতকে উঠবেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) থেকে নতুন দর কার্যকর করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি–বাজুস।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার মূল্য ৫৪ হাজার ৫২৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার মূল্য ৪৯ হাজার ৫১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ২৯ হাজার ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেলায় ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা অপ্রদর্শিত প্রতি ভরি সোনা ১ হাজার টাকায় বৈধ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তাতে ভালো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশে গহনার জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় ধাতু হচ্ছে স্বর্ণ। সব মিলিয়ে এই বছরের শুরু থেকে সাতবার স্বর্ণের দাম বাড়ল। জানুয়ারি মাসে যে স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৪৮ হাজার ৯৮৮ টাকা ছিল, সোমবার থেকে ভরি প্রতি সেজন্যে আপনাকে প্রায় সাত হাজার টাকা বেশি খরচ করতে হবে। আজ থেকে ভরি-প্রতি স্বর্ণের দাম পড়বে ৫৬ হাজার ৮৬২ টাকা।
স্বর্ণের দাম আবারো কেন বাড়ানো হচ্ছে?
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বা বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম বাড়ছে তাই তাদেরও দাম বাড়াতে হচ্ছে।
তিনি দাম বৃদ্ধির একটি ধারণা দিয়ে বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে বছরের শুরু থেকে পর্যায় ক্রমে আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম বেড়েছে আড়াইশ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক একুশ হাজার টাকা। ভরি প্রতি আট হাজার টাকা। কিন্তু আমরা একবারে না বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে বাড়াচ্ছি।’
তিনি বলছেন, ‘বাংলাদেশে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণ আমদানি শুরু না হলেও যারা লাগেজে করে স্বর্ণ আনেন, তারাও তো আন্তর্জাতিক বাজারের দরেই সেটি কিনে আনেন। যারা রিসাইকেল করা স্বর্ণ কিনছেন তারাও ওই আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুসরণ করেন।’
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাড়লে তার প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে। স্থানীয় বাজারে সোনার দাম বাড়ার এটি একটি অন্যতম কারণ। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম অনেক সময় বাড়তি থাকলে দেখা যায়, সোনার দাম হয় নিম্নমুখী। আবার এমনও দেখা যায়, ডলারের দাম নিম্নমুখী হলে সোনার দাম হয় ঊর্ধ্বমুখী। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বাড়া বা কমার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের স্থানীয় বাজারে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক বাজারে যখন টাকার মান কমে যায়, তখনও স্থানীয় বাজারে সোনার দাম বেড়ে যায়। এছাড়া, শীত মৌসুমে দেশে বিয়েসহ বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠান বেশি হওয়ায় সোনার চাহিদা বেড়ে যায়। পূজা, ঈদসহ বিভিন্ন পার্বণেও চাহিদা বেশি থাকায় সোনার দাম বাড়ে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন