অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নিয়ে গত ১০ জানুয়ারি সব ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছিলেন, আজ থেকে খেলাপি ঋণ আর এক টাকাও বাড়বে না।
অথচ গত জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা।
খেলাপি ঋণ না বাড়াতে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পরও গত ৩ মাসে বিপুল অংকের খেলাপি হওয়ায় চাপে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে জরুরি সভা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সভায় খেলাপি ঋণ বেশি বেড়েছে এমন ৭ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) ডেকে নিয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
সাতটি ব্যাংকের মধ্যে ৪টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও ৩টি বেসরকারি। ব্যাংকগুলো হলো—সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রুপালী, আল-আরাফাহ, ইসলামী ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়ে এ সভায় যোগ দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। সভা শেষে খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ খুঁজতে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, তিন মাসেই দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার সকালে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল কয়েকটি ব্যাংকের এমডিকে ফোন দিয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ জানতে চান। এরপর হঠাৎ করেই আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সভার আয়োজন করা হয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের উপস্থিতিতে এতে গভর্নর ফজলে কবিরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্যাংকগুলোকে যে কোনো উপায়ে চলতি জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ ও ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে ও খেলাপি ঋণ কমাতে কাজ করবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন