রমজানকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়তে থাকায় অস্থির হতে শুরু করেছে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার। আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল থাকা সত্ত্বেও চাহিদা বাড়ার অজুহাতে ছোলা, চিনি এবং পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও কমেছে সব ধরণের ভোজ্য তেলের দাম।
বছরের অন্যান্য সময় তেমন চাহিদা না থাকলেও শুধুমাত্র রমজান মাসে দেশে ছোলার চাহিদা ৭০ থেকে ৮০ হাজার টন। চাহিদা অনুযায়ী বিদেশ থেকে ছোলা আমদানিও হয়েছে। এমনকি ছোলাবাহী আরো কয়েকটি জাহাজ বন্দরে অবস্থান করছে। তারপরও ছোলার দাম বেড়েছে।
খাতুনগঞ্জের মেসার্স আর এন ট্রেডার্সের মালিক জ্যোতির্ময় চৌধুরী বলেন, ছোলার কেজি ছিলো ৬৫ টাকা তবে এখন তা ৬৫ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে বেড়েছে চিনির দাম। রমজান মাসে আড়াই থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা থাকে। কিন্তু মিল থেকে বাজারে চিনির আসার ধীর গতির কারণে দাম বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
খাতুনগঞ্জের আলতাফ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক আবদুল গফফার বলেন, সরবরাহ ঠিক না থাকলে ভবিষ্যতে চিনির দাম আরো বাড়বে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক সপ্তাহে সয়াবিন তেলের বুকিং রেট কমেছে অন্তত ২০ ডলার। যে কারণে দেশের বাজারে সব ধরণের ভোজ্য তেলের দাম মণ প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে।
গত সপ্তাহে মোকামে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২ টাকা বেড়ে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আদা ও রসুন কেজিতে দু’টাকা করে কমেছে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জকেন্দ্রিক ১৫ থেকে ২০ জন আমদানিকারক এসব ভোগ্য পণ্য আমদানি করেন।
সূত্র : সময় নিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন