ধানমন্ডির বাঁশমতি রেস্টুরেন্টে ‘কোমল পানীয় ও বোরহানি’তে নেই মেয়াদ!
06 Apr, 2019
‘বাঁশের সাথে মতি মিয়াঁর এমন রকম ভাব! কাচ্চির সাথে যেমন থাকে, বোরহানি আর কাবাব।’ এমন মুখরোচক স্লোগানে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলার বাঁশমতি কাচ্চি বিরিয়ানি রেস্টুরেন্ট। বাইরে মুখরোচক স্লোগান দেয়া থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির ভেতরের অবস্থা খুবই নাজুক। তাদের বিক্রি করা বোরহানির গাঁয়ে নেই কোনো মূল্য তালিকা ও উৎপাদন তারিখ। এমনকি কোমল পানীয়র মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষের চেতনার অভাবে হরহামেশায় ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে এসব পণ্য। সম্প্রতি এই রেস্টুরেন্টের বিররুদ্ধে এসব অভিযোগ করে একটি ভিডিও ব্রেকিংনিউজের এই প্রতিবেদকের কাছে এসেছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে ভিডিওতে দেখা যায় বাঁশমতি কাচ্চি বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন আশফাক সাঈদ রিয়েল। তিনি কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে অর্ডার করে হাফ লিটার বোরহানি ও একটি কাঁচের বোতলের মাউন্টেইন ডিউ।
তিনি ব্রেকিংনিউজকে অভিযোগ করে বলেন, ‘ঝিগাতলার বাঁশমতি কাচ্চি বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টের নাম-ডাক সর্বত্র বিস্তৃতি। কিন্তু তারা মানুষের সাথে প্রতরণা করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যে বোরহানি দিয়েছিল তার গায়ে কোনো মূল্য, উৎপাদন বা মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ ছিল না। এছাড়া মাউন্টেইন ডিউ এর মেয়াদ গত দুই দিন আগেই উত্তীর্ণ ছিল। মেয়াদউত্তীর্ণ মাউন্টেইন ডিউয়ের মূল্যও নিয়েছে রেস্টুরেন্টটি। ফ্রিজ ভর্তি বোরহানির এমন অনেক বোতল সাজিয়ে রেখেছে তারা।’
হোটেলের ম্যানেজারের বরাত দিয়ে আশফাক সাঈদ বলেন, ‘বোরহানির নাকি মেয়াদউত্তীর্ণ হয়না আর মাউন্টেইন ডিউ কিছুদিন আগেই কোম্পানি দিয়ে গেছে। মেয়াদ কেন উত্তীর্ণ সে ব্যাপারে ম্যানেজার জানে না।’
জানতে চাইলে বাঁশমতি কাচ্চি বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার বিপ্লব ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারবো না। রেস্টুরেন্টের মালিক এ ব্যাপারে ভালো জানেন। রেস্টুরেন্টির মালিকের মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে তিনি দিতে অপারগতা জানান।’
রেস্টুরেন্টির ফেসবুক পেজে রিভিউতে মীর রাইহানুল ইসলাম লিখেছেন, ‘কাচ্চির টেস্ট একদমই ভালো লাগেনি। মোরগ পোলাওটা খারাপ ছিলো না। পেস্তা বাদামের শরবতটা একদম ভালো না। বোরহানি মোটামুটি। ব্যবহার ভালো ছিলো কিন্তু পরিবেশ একদম নোংরা ছিলো।’
সোহান সিদ্দীক নামের একজন লিখেছেন, ‘extremely bad worst experience of my life.’
সানজিদা স্বর্ণা নামের একজন লিখেছেন, ‘Visited their place many times food quality was good bt today I ordered through Foodpanda.. Food quantity is too much poor than before and mutton pieces are just disgusting just bones।. And too much hard.।.. Even some portion of rice was burned.. Totally disappointed. Never gonna order again.’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন