আইন করে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গাইড ও নোট বই বারবার নিষিদ্ধ করা হলেও বাজার সয়লাব গাইড বইয়ে। বিক্রেতাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের চাহিদার জন্যই নামে বেনামে প্রকাশনিও এসব বই বিক্রি করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকদের পরামর্শে বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বই কিনতে হচ্ছে তাদের। সহায়ক বই নামে নিম্নমানের এসব বই বন্ধ না করা গেলে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশেও কোন উদ্যোগ কাজে আসবে না বলে মসে করেন শিক্ষাবিদরা।
রাজধানীর নীলক্ষেত বই বাজার। যেখানে ফুটপাত থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি দোকানেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বই। এসব বই প্রকাশে, মুদ্রণে এবং বিক্রিতে বারবার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও সহায়ক বইয়ের নামে বাজারে চলছে গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা। এসব গাইড বই বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দামে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সৃজনশীল প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা পেতে শিক্ষকদের পরামর্শেই গাইড বই কিনছে তারা। এ জন্য একজন শিক্ষার্থীর একাধিক প্রকাশনীর গাইড বই কেনার নজিরও কম নয়।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাইড বইকে নিরুৎসাহিত করে আসছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে প্রশ্নের কাঠামোতে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হলেও তা অনেকটাই আটকে আছে এই গাইড বইয়ে। যা কিনা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুয়েটের অধ্যাপক শিক্ষাবিদ ড. মো. কায়কোবাদ বলেন, পাঠ্যপুস্তক ভালো হতে হবে। পাঠ্যপুস্তক পড়লেই যাতে যেকোন প্রশ্ন ভালো করে উত্তর করতে পারে। এবং আমরা যখন প্রশ্ন করব সেটা গাইড বই দেখে নয়, কেননা সেখানকার উত্তর সবার জানা থাকে।
আর এ সংক্রান্ত আইন থাকলেও তার প্রয়োগ না হওয়ায় শিক্ষাব্যবস্থা গাইড নির্ভর বলে মনে করেন এই শিক্ষাবিদরা। তাই এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষার্থীদের জন্য মূল পাঠ্য পুস্তককে সহজ বোধ্য করার পরামর্শ তাদের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন