প্রথমে দু’বছরের কারাদণ্ড, তার জেরে সাংসদ পদ বাতিল। ওয়ানাডের সাংসদ শুধু যে ১২ নম্বর তুঘলক রোডের মাথার ওপর ছাদটি হারাচ্ছেন তা নয়, দু’লাখ ৬০ হাজার রুপির মাসিক বেতনও হারাচ্ছেন। সাংসদ হিসেবে রাহুলের বেতন ছিল এক লাখ রুপি। ৭০ হাজার রুপি একজন সংসদ সদস্যের বরাদ্দ এলাকা উন্নয়নের জন্য। এছাড়াও ৬০ হাজার রুপি তার মাসে বরাদ্দ ছিল অফিস চালানোর জন্য। ৪০ হাজার রুপি অফিস কর্মীদের বেতন বাবদ। ২০ হাজার রুপি অফিসের কাজ চালানোর জন্য। সবমিলিয়ে দু’ লাখ ৩০ হাজার রুপির আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করতে হবে রাহুলকে প্রতি মাসে। কোভিডের সময় এই অর্থের ৬০ শতাংশ কমানো হয়েছিল। এখন ফের পূর্বের অবস্থা।
সাংসদ হিসেবে রাহুল মাসে দেড় লাখ রুপি টেলিফোন নিখরচা করার সুযোগ পেতেন। পেতেন দুটি টেলিফোন সংযোগ। এখন সব তুলে নেয়া হবে। এছাড়াও ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ নি-শুল্ক পেতেন রাহুল, তা আর পাবেন না। বিনামূল্যে চার হাজার কিলোলিটার পানি পেতেন তিনি। সেটাও পাবেন না। ক’দিনের মধ্যেই তুঘলক রোডের বাংলো ছাড়ার চিঠি তাকে দেয়া হবে।এই দুরাবস্থার মধ্যেও রাহুল বলছেন, আমি নির্ভীক। আমাকে নিয়ে মোদির চোখে আমি ভয় দেখেছি। আমার জিত ওইখানেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন