ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করার পরিকল্পনা করছে শাহবাজ শরিফ সরকার। এমনটাই জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের গৃহমন্ত্রী রানা সানউল্লাহ। পুলিশ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে অস্ত্র ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করার পর এই খবর সামনে এসেছে ।
শাসক জোটের নেতারা খানকে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। শনিবার লাহোর থেকে ইসলামাবাদে যাবার পথে খানের সমর্থকরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ।ইসলামাবাদে থাকাকালীন ১০,০০০ এরও বেশি সশস্ত্র পাঞ্জাব পুলিশ লাহোরে তার জামান পার্কের বাসভবনে একটি বড় অভিযান শুরু করে। ইমরানের কয়েক ডজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে এবং তার বাসভবন থেকে অস্ত্র ও পেট্রোল বোমা জব্দ করার দাবি করে। এরপরই ডন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানউল্লাহ বলেছেন যে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলকে একটি নিষিদ্ধ দোল ঘোষণা করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে কিনা তা মূল্যায়ন করতে সরকার তার আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করবে। সানাউল্লাহ বলেছেন, “জামান পার্কে সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে ছিল। ইমরান খানের বাসভবন থেকে অস্ত্র, পেট্রোল বোমা ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে যা একটি জঙ্গি সংগঠন হওয়ার জন্য পিটিআই-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার যথেষ্ট প্রমাণ বহন করে। ''প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ তার ভাইঝি PMN-L সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজের দাবির সাথে একমত যিনি আগেই বলেছিলেন খানের দল একটি ‘জঙ্গি সংগঠন’ । তিনি একটি টুইটে বলেছেন, যদি কারো সন্দেহ থাকে তাদের উদ্দেশে বলে রাখি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের গত কয়েকদিনের কর্মকাণ্ড তার ফ্যাসিবাদী এবং জঙ্গি প্রবণতাকে প্রকাশ করেছে।
''
মরিয়ম বলেন, আসলে জনাব খান জেলে যেতে ভয় পান। তিনি একজন কাপুরুষ কারণ তিনি আদালত থেকে চলে গেছেন। সংবাদপত্র অনুসারে, অনেক পিএমএল-এন মন্ত্রিসভার সদস্য খানের বিরুদ্ধে পুলিশের পদক্ষেপকে ন্যায্যতা দিয়েছেন এবং ইসলামাবাদের বিচারিক কমপ্লেক্সে তার দলের "গুণ্ডামির "কে নিন্দা করেছিলেন।প্রসঙ্গত, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। বর্তমান পাক সরকারের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ ছিল, এই সরকার যেভাবেই হোক তাকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখতে চায়। সে জন্যই তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ইমরান। দেশের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার সাংবাদিকদের বলেছেন, খান সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
সূত্র : দ্য হিন্দু
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন