রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ব্যাপারে আন্তরিক নন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। এ ছাড়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় হামলা চালিয়ে পুতিন যুদ্ধকে বর্বরতার একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পুতিন এই যুদ্ধকে ইউক্রেনের প্রত্যেক নাগরিকের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। তিনি বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে যা করতে পারেননি, সেটি অর্জনের চেষ্টা করছেন। খবর বিবিসি, এএফপি ও আলজাজিরার।
কিয়েভ বলছে, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাওয়ার মধ্যেই রাশিয়ার হামলার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ১ কোটিরও বেশি মানুষ।
এদিকে পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া তেলের দাম রাশিয়া 'মানবে না' ও কীভাবে এর জবাব দেওয়া যায়, সেই উপায় খোঁজা হচ্ছে বলে হুংকার দিয়েছে ক্রেমলিন। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির সাত দেশের সংগঠন জি৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়া শুক্রবার সমুদ্র পথে রপ্তানি করা রাশিয়ার তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় কমানোই তাদের উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে তারা রাশিয়ার অর্থনীতিকে দুর্বল করে ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর অর্থের জোগান কমাতে চাইছে। আজ সোমবার থেকে তেলের দামের নতুন এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তেলের মূল্য নির্ধারণের জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে মস্কো।
অন্যদিকে শীতের কয়েক মাস ধীরগতিতে যুদ্ধ চলবে বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা মনে করে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক এভ্রিল হেইনেস বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধ যে কমে আসছে, তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আগামী বসন্তকালে যে কোনো প্রতিরোধের জন্য দুই পক্ষই পুনর্গঠিত হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন