পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করছে -
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রোববার বলেন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় তাদের ক্ষতি প্রতিদিনই বাড়ছে। যার ফলে ইউক্রেনের সাথে চলমান যুদ্ধ এগিয়ে নিতে মস্কোর জন্য তার অস্ত্রশস্ত্র পুনরায় সংগ্রহ করা আরো কঠিন হয়ে পড়েছে।
অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের আরোপিত বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণগুলোর পর রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অস্ত্র সমুহ ঠিক করতে বা আরো অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারবে না। ইউক্রেনের অগ্রগতির মুখে মস্কোর বাহিনী পশ্চাদপসরণ করার কারণে রাশিয়া অনেক অস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক সিএনএন-এর 'স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন' অনুষ্ঠানে বলেন, প্রতিদিনই ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। রাশিয়ার ওপর বোঝা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তিনি আরো বলেন, পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার অর্থনীতি ও তার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে দুর্বল করার জন্য নিষেধাজ্ঞাগুলো আরো কঠোর করার বিভিন্ন উপায়ের দিকে ‘ক্রমাগত নজর দিচ্ছে’।
রাশিয়া ইউক্রেনীয় জনগণের মনোবলকে দুর্বল করার জন্য ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহকে লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে অভিযোগ করে, অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, তারা ‘শীতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে। এটা সত্যিই বর্বরোচিত।’
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, এই যুদ্ধের প্রতি রাশিয়ার জনগনের সমর্থন কমে যাচ্ছে ।
এদিকে, রাশিয়ার জ্বালানি প্রধান, উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক রোববার বলেছেন, পশিমাদের বেধে দেয়া মূল্যে মস্কো কোনো তেল বিক্রি করবে না। প্রয়োজনে উৎপাদন কমানো হবে।
নোভাক শুক্রবার সাতটি নেতৃস্থানীয় শিল্পোন্নত দেশ এবং অস্ট্রেলিয়া দ্বারা আরোপিত ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার মূল্য নির্ধারণকে বিশ্ব শক্তি বাণিজ্যে একটি গুরুতর হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন