চীন ও জাপানে আবার করোনার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই সংক্রমণ ক্রমে ছড়াচ্ছে। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা রিসোর্স সেন্টার সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
মাত্র দুই মাস আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা—ডাব্লিউএইচও ঘোষণা দিয়েছে, ‘পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে মহামারি করোনা।
’ এখন তার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। এএফপিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, চীন, জাপান ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। উদ্বেগজনকভাবে সংক্রমণ বাড়ছে চীন ও জাপানে।
বাংলাদেশ বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণের হার অনেক নিচে। তবে আমরা বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বিষয়টি আমাদের জাতীয় পরামর্শ কমিটির কাছে তুলে ধরব। দেখি তারা কী বলে। একই সঙ্গে সারা দেশের হাসপাতাল ও বন্দরগুলো নজরদারিতে রাখছি। ’
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট—আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘শীতপ্রধান দেশে শীতকালে করোনার সংক্রমণ বেশি হয়। বর্তমানে চীন-জাপানে করোনার সংক্রমণ বাড়তির দিকে। সামনে ইউরোপ-আমেরিকায় বাড়তে পারে। দেশে গরমের সময় সংক্রমণ বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারিতে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চীন ও জাপানে ঊর্ধ্বগতি
বিতর্কের মধ্যে শূন্য কভিড নীতি বজায় রেখেও রক্ষা পাচ্ছে না চীন। নতুন করে করোনার সংক্রমণ রেকর্ড মাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় বেইজিং ও অন্যান্য শহরে কোথাও পুরোপুরি, কোথাও বা আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। জাপানেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। টোকিওতে গতকাল করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৯৩৮ জন। গত বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ৬৩৯ জন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন