তাইওয়ান ইস্যুতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’কে একথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এরপরই চীন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তারা বলেছে, তাইওয়ানকে ‘মারাত্মক ভুল এবং বিপজ্জনক সিগন্যাল’ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয় শুক্রবার দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে দেড় ঘন্টার মতো ‘সরাসরি এবং সৎ’ আলোচনা হয়েছে। এ সময়ে আলোচনায় প্রাধান্য বিস্তার করে ছিল তাইওয়ান ইস্যু। এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্ফটিকের মতো পরিষ্কার করে বলেছেন- দীর্ঘদিন ওয়ান-চায়না পলিসির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে খুব ভুল এবং বিপজ্জনক সিগন্যাল দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তাইওয়ান যত বেশি স্বাধীনতার তৎপরতা চালাবে, ততই শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে। মন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, তাইওয়ান ইস্যু চীনের আভ্যন্তরীণ বিষয়। যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করতে চাওয়ার মাধ্যমে এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের।
উল্লেখ্য, এ বছর আগস্টে আকস্মিক তাইওয়ান সফরে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। সেই সফরের পর থেকেই তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই সফরের পর বড় আকারের সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। একই কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানে গণতান্ত্রিক সরকারকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ নিয়ে সর্বশেষ যে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি তা এ পর্যন্ত দেয়া সব মন্তব্যের মধ্যে কড়া। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী তাইওয়ানকে রক্ষা করবে।
এর আগে জুলাই মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনকলে কথা হয় জো বাইডেনের। তখন তিনি শি জিনপিংকে তাইওয়ান ইস্যুতে সতর্ক করেন। বলেন, যারা আগুন নিয়ে খেলা করে, তারা সেই আগুনেই পুড়ে অঙ্গার হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন