ইউরোপের দীর্ঘতম সেতু উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির প্রধান সহযোগী মিখাইল পোদোলিয়াক মঙ্গলবার এ হুমকি দেন। দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ক্রাইমিয়া সেতু ধ্বংস করে দেয়া উচিৎ। এই সেতুই ক্রাইমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করেছে।
কিয়েভ কেনো এই সেতুতে আক্রমণ করতে চায় তার কারণ ব্যাখ্যা করতে পোদোলিয়াক বলেন, এই সেতুটি একটি ‘অবৈধ’ নির্মাণ এবং ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রবেশের প্রধান রাস্তা। মঙ্গলবার ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। ক্রাইমিয়া সেতুতে আক্রমণ করার ইচ্ছার কথা জানানো সর্বশেষ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা হলেন পোদোলিয়াক। তার আগেও একাধিকবার ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায় থেকে এ ধরণের হুমকি এসেছে।
২০১৪ সালে এক সশস্ত্র ক্যু-এর মাধ্যমে ক্রাইমিয়া ইউক্রেন থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর এক গণভোটের মাধ্যমে অঞ্চলটি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়। যদিও ওই গণভোটকে স্বীকৃতি দেয়না বেশিরভাগ দেশ। ক্রাইমিয়া রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরই এই সেতু নির্মাণ শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
সমুদ্রের মধ্য দিয়ে নির্মিত এই সেতুই রাশিয়া ও ক্রাইমিয়াকে যুক্ত করেছে। এই সেতুতে আছে গাড়ি এবং ট্রেন চলাচলের জন্য ভিন্ন দুটি রাস্তা। সামরিক কার্যক্রমের বাইরে বেসামরিক গাড়িও চলাচল করে এ সেতু দিয়ে।
আরটি’র খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ক্রাইমিয়ার রুশ ঘাঁটিগুলোতে একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে। ইউক্রেন যদিও এর পেছনে থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে পোদোলিয়াকের এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, ইউক্রেনই ক্রাইমিয়াতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। প্রথমে একটি রুশ ঘাঁটিতে হামলা হলেও সে বিষয়ে রাশিয়া কাউকে অভিযুক্ত করেনি। তবে দ্বিতীয় আরেকটিতে হামলার পর রাশিয়া জানিয়েছে, এই হামলার পেছনে নাশকতাকারীরা রয়েছে। ইউক্রেন এ হামলার সঙ্গে যুক্ত ইঙ্গিত দিয়ে পোদোলিয়াক বলেন, সামনের মাসগুলোতে এ ধরণের আরও হামলা চলতে থাকবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন