খতিয়ানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী হিসেবে যশোদাবেনের উল্লেখ থাকলেও, তার সম্পত্তির পরিমাণের জায়গায় লেখা আছে, ‘জানা নেই’। দেশটির অন্যান্য মন্ত্রীরও সম্পত্তির হিসেব প্রকাশ করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ভারত জুড়ে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সেই সময় আদর্শ রাজনীতিবিদদের উদাহরণ তুলে ধরতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। দুর্নীতি রুখতে এবং স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্পত্তির খতিয়ান পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ভারতে প্রতিবছর সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেও পেশ করছেন তার সম্পত্তির হিসেব। সেই মতো এই খতিয়ানে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেব তুলে ধরা হয়েছে। যাতে দেখানো হয়েছে, তার ভাগে থাকা একটি জমি প্রধানমন্ত্রী দান করে দিয়েছেন।
গুজরাতের গান্ধীনগরের ওই জমি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আরও তিন জনের সঙ্গে মিলে কিনেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেটা ২০০২ সালের ২৫ অক্টোবরের ঘটনা। সেই সময় জমিটির মূল্য ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৮ টাকা। পরে, প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ করে তার ওপর নির্মাণ কাজ হয়েছিল। ২০২১ সালে সম্পত্তির খতিয়ান দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১৪ হাজার ১২৫ বর্গফুটের ওই জমির ২৫ শতাংশ তার মালিকানাধীন। ওই জমির বাজারমূল্য বেড়ে হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। সেই জমিই প্রধানমন্ত্রী দান করে দিয়েছেন বলেই পেশ করা খতিয়ানে জানানো হয়েছে।
খতিয়ানে প্রধানমন্ত্রী মোদির স্ত্রী হিসেবে যশোদাবেনের উল্লেখ থাকলেও, তার সম্পত্তির পরিমাণের জায়গায় লেখা আছে, ‘জানা নেই’। প্রধানমন্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘নিল’। এর আগে মোদির নামে লার্সেন অ্যান্ড টুবরোর ২০ হাজার টাকার বন্ড থাকার কথা জানানো হয়েছিল। সেই বন্ডও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১২ সালে তিনি কিনেছিলেন। তারও কোনও উল্লেখ এবারের খতিয়ানে নেই।
গত বছরের খতিয়ানে জানানো হয়েছিল, মোদির অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৯৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮৫ টাকা। নতুন খতিয়ানে জানানো হয়েছে, সেটা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০৪ টাকা। এই অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে ফিক্সড ডিপোজিট, এনএসসি, জীবন বিমা, গয়না, ব্যাংকে টাকা, হাতে থাকা নগদ অর্থ। এর মধ্যে এনএসসি মূল্য ৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৫১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ লাখ ৫ হাজার ১০৫ টাকা। বিমার অর্থ ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৫ টাকা।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন