কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের আদেশে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি) যে ১৯ জন নেতা মন্ত্রীর আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির পরিমাণের তদন্ত করবে তার মধ্যে অধিকাংশই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তারা বলছেন- ইডি তদন্ত করুক, তদন্ত করলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। মমতা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বিষয়টি নিয়ে নির্বিকার। শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। ব্রাত্য ২০১১ সালে নির্বাচন কমিশনকে দেয়া হলফনামায় তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫২৩ টাকা। ২০১৬ তা কমে হয় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা। ঘোষিত হিসেবে তার আয় কমেছে ৬৫ শতাংশ। স্থাবর-আস্থাবর সম্পত্তি ছিল ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ২০৩ টাকা ৯১ পয়সা, তা ২০১৬ সালে হয় ৩২ লক্ষ ১২ হাজার ৫৭ টাকা। অর্থাৎ ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি। অভিযোগ যে ব্রাত্যর স্ত্রীর সম্পদ ২০১১ সালে ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৫৯৪ টাকা।
২০১৬ সালে তা বেড়ে হয় ১০ লক্ষ ৪৪ হাজার ২০ টাকা। অর্থাৎ বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৬০০ শতাংশ। অভিযুক্তদের অনেকের বক্তব্য স্ত্রীদের সম্পত্তি স্ত্রীর ধন হিসেবে অর্জন করা। তদন্তে তা প্রকাশ পাবে। রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পরিবার তার মৃত্যুর পরেও তাকে নিয়ে কাটাছেঁড়ায় দুঃখিত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন