টানা তিনদিন সংঘর্ষ, রক্তপাত ও হতাহতের পর গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মিসরের মধ্যস্ততায় গত রবিবার দিনের শেষভাগে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু এর আগেই মাত্র তিন দিনে ইসরায়েলের আগ্রাসী আক্রমণে অন্তত ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন কয়েকশ লোক। খবর বিবিসি।
খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার অবরুদ্ধ গাজার প্রতিবন্ধকতা তুলে নিয়েছে ইসরায়েল। প্রথম তেলবাহী ট্যাঙ্ক প্রবেশের অনুমতিও দিয়েছে তারা। এর আগে রবিবার বিকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১৫ শিশুসহ ৪৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ৩০০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এবার প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) সংগঠনটিকে টার্গেট করে হামলা চালায়। এবারের হামলায় পিআইজের শীর্ষ দুই কমান্ডার নিহত হয়েছেন। কিন্তু এবার সংঘর্ষে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী আরেক সংগঠন হামাস অংশ নেয়নি। প্রতিবারই ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের লড়াই হলেও এবার কেন ‘চুপ’ থাকার কৌশল নিয়েছে হামাস তার ব্যাখ্যা করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক্স। সেখানে বলা হয়, এছাড়া হামাস মূলত এখন গাজার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিয়েছে। ইসরায়েল মারাত্মক কিছু না করলে পারতপক্ষে তারা লড়াইয়ে অংশ নেবে না। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অংশ হিসেবে তারা সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আর্থিক সহায়তা নিচ্ছে। পাশাপাশি হামাস চায়- ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হোক। এসব দিক বিবেচনায় রেখে হামাস এবার যুদ্ধে অংশ নেয়নি। যদিও গত শুক্রবার শুধু একটি বিবৃতি দিয়েছিল যে, গাজা আক্রান্ত হলে তারা বসে থাকবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন