ইউক্রেনের বিপন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বর্শ নামক স্যুপ তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো। স্যুপটি সাধারণত বিটরুট ও আলু দিয়ে তৈরি করা হয়।
ইউনেস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ বর্শ রান্না করার বিষয়টি হুমকির মধ্যে ফেলেছিল। ইউক্রেনের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, বর্শর জন্য লড়াইয়ে আমাদেরই জয় হলো।
তবে এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে দেখছে না রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউনেস্কোর পদক্ষেপকে উপহাস করে বলেছে, রাশিয়ায় এই পদের জন্য সুরক্ষার দরকার নেই।
ইউক্রেনীয়দের কাছে বর্শ খুবই পছন্দের এবং অনেকের কাছে ভীষণ আবেগের। সাধারণত বীটরুট থেকে লাল রঙের হয় এই স্যুপ। তবে সবুজ এবং সাদা রঙেরও এই স্যুপ পাওয়া যায়।
বর্শকে জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করে ইউক্রেনীয়রা। রুশদের কাছেও এটি ব্যাপকহারে সমাদৃত। এছাড়া পোল্যান্ডেও বেশ জনপ্রিয়। তবে শুরুতে এটি কোথায় রান্না হতো, তা নিয়ে কিন্তু বিতর্ক আছে।
শুরুতে বর্শ কেমন করে, কোথায় রান্না হতো, এই পদের সঙ্গে কিভাবে মাংস যুক্ত হলো- সেসব নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে বর্শ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউক্রেনীয় এবং রুশরা পাল্টাপাল্টি দাবি তোলে। এটাকে অনেকে বর্শ যুদ্ধও বলেছেন।
একপর্যায়ে ২০২০ সালে ইউক্রেন বর্শ-এর জন্য ইউনেস্কোতে আবেদন করে। ২০২৩ সালে বর্শ এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসার কথা থাকলেও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এক বিবৃতিতে তা জানিয়ে দিল ইউনেস্কো।
সূত্র: বিবিসি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন