ক্ষমতা ধরে রাখার সব চেষ্টা করেছিলেন মাহিন্দ রাজাপাকসে। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক সংকট, জনরোষ আর সর্বশেষ বিরোধীদের ওপর সরকার সমর্থকদের ভয়াবহ হামলায় ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপিসহ দু’জন নিহত হওয়ার পর তা আর পারলেন না। পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে স্ট্রংম্যান হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে। স্বাধীনতার পর দেশটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে। এমন সংকট আর কখনো দেখেনি নাগরিকরা। সরকার বাধ্য হয়েছে বিদেশি ঋণদাতাদের কাছে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে। এমনকি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানিতে সরকার হাত দিয়েছে বিদেশি রিজার্ভে। তাও প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। ফলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি দেশটিতে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মানুষের
তারা গুলির ভয় উপেক্ষা করে, কারফিউ তোয়াক্কা না করে প্রতিবাদ বিক্ষোভে রাজপথে নেমে পড়েছে। তাদের ওপরও সরকারপন্থিরা গতকাল ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। হামলা-পালটা হামলার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের এমপি অমরাকীর্তি আথুকোরালা নিহত হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে অনলাইন এনটিডিভি বলছে, নিত্তামবুওয়াতে এই এমপি’র গাড়ির গতি রোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তিনি গুলি করেন। এতে মারাত্মক আহত হন দু’জন। এর মধ্যে একজন মারা যাওয়ার পর তিনি নিজের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। গতকালের সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে ১৫৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওদিকে মোরাতুওয়ার মেয়র সমন লাল ফার্দিনান্দের উইলোরাওয়াত্তি এলাকায় সরকারি বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ‘গোটাগোমা’ বিক্ষোভস্থলে বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা ও এসজেবি দলের এমপিদের একটি গ্রুপ উপস্থিত হলে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সাজিথ প্রেমাদাসাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন মাহিন্দ রাজাপাকসে। এর আগেই তার দ্বিতীয় পুত্র ইয়োশিথা ও পুত্রবধূ দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে উড়াল দিয়েছেন। পরে মাহিন্দ রাজাপাকসে পদত্যাগের মধ্যদিয়ে নতুন একটি ঐক্যের সরকার গঠনের পথ পরিষ্কার করে দিয়ে যান। ভেঙে গেছে মন্ত্রিপরিষদও। তিনি বিদায় নেয়ার পর ক্ষমতায় রয়ে গেছেন তারই ভাই, প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি বিরোধীরা। এর আগে শুক্রবার চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে নিজের ভাই ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেন প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। জবাবে মাহিন্দ রাজাপাকসে এসএলপিপি এমপিদের কয়েকজনকে জানান, তিনি সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিদেশি ঋণনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলায় শ্রীলঙ্কা এখন সরকারিভাবে দেউলিয়া। বিদেশিদের কাছে দেশটির আছে ৫১০০ কোটি ডলারের ঋণ। এই ঋণ শোধ দেয়ার সামর্থ্য নেই তাদের। ফলে সরকারিভাবে দাতাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে দেউলিয়াত্বের কথা। আর্থিক সংকট অক্টোপাসের মতো চারদিক থেকে আঁকড়ে ধরেছে দেশটিকে। চারদিকে শুধু নেই আর নেই। মাসের পর মাস বিদ্যুৎ নেই। খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ভয়াবহ সংকট। হঠাৎ যদিওবা কিছু পণ্য পাওয়া যায়, তার দাম আকাশচুম্বী।
এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের দীর্ঘ সময় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সরকার দলীয় কিছু সদস্য, কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটাররা, চিকিৎসকরা আর মন্ত্রিসভা থেকে একযোগে পদত্যাগ করেন ২৪ জন। ৯ই এপ্রিল থেকে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের অফিসের বাইরে। সেখানে তারা ক্যাম্প করেছেন। গতকাল তাদের তাঁবু ও অন্যান্য স্ট্রাকচার ভেঙে দিতে হামলা চালিয়েছে সরকারপন্থিরা। ততক্ষণেও পদত্যাগ করেননি মাহিন্দ রাজাপাকসে। এর আগে তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ জনতাকে সংযম চর্চা করতে হবে। স্মরণ রাখতে হবে যে, সহিংসতা শুধু সহিংসতারই জন্ম দেয়। এক টুইটে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান হতে হবে অর্থনৈতিকভাবে। প্রশাসন এই সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। এর অধীনে সেনাবাহিনীকে গ্রেপ্তার ও আটকের ক্ষমতা দেয়া হয়। ফলে কার্যত রাজাপাকসে পরিবারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগের দাবিতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে দেশ। রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা উস্কানি ও হুমকিমূলক আচরণ করছে। তারা অত্যাবশ্যকীয় সেবাখাতকে বিঘ্নিত করছে। জবাবে ইউনিয়নগুলো জানিয়ে দেয়, সোমবার থেকে তারা প্রতিদিন বিক্ষোভ করবে। এর মধ্য দিয়ে সরকারকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে। ইউনিয়ন নেতা রবি কুমুদেশ বলেন, আগামী ১৭ই মে জাতীয় পার্লামেন্টের পরবর্তী অধিবেশন বসার কথা। তার আগেই সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মীদের পার্লামেন্টের দিকে ‘মোবিলাইজ’ করবেন। তিনি আরও পরিষ্কার করে বলেন, আমরা চাই প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের ক্ষমতা থেকে বিদায়।
ক্ষমতাসীন জোটের ভিন্নমতাবলম্বী জয়সেকারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কী বলবেন তা আমি বুঝতে পারি। তিনি বলবেন, বর্তমান সংকটের জন্য আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ফলে আমার পদত্যাগের কোনো কারণও নেই। জয়সেকারা বলেন, তিনি বলটি প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের কোর্টে ঠেলে দেবেন। বলবেন, যদি আপনি চান, তাহলে আমাকে বরখাস্ত করুন।
বিক্ষোভকারীরা চাইছেন ক্ষমতা থেকে পুরো রাজাপাকসে পরিবার বিদায় নিক। তারা দেশের যে পরিমাণ সম্পদ চুরি করেছেন বলে অভিযোগ আছে তা ফেরত আনা হোক। রাজাপাকসে পরিবারের স্ট্রংম্যান হিসেবে পরিচিত সদ্য পদত্যাগী মাহিন্দ রাজাপাকসে। তিনি রোববার পবিত্র শহর অনুরাধাপুরায় জনরোষে পড়েন। এই বিক্ষোভে অংশ নেন বুদ্ধিস্ট ক্লারজিও। তারা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের পদত্যাগ দাবি করেন, যাতে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য পথ বের হয়ে আসে। কিন্তু জোর করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন গোটাবাইয়া ও মাহিন্দ রাজাপাকসে ভ্রাতৃদ্বয়। মানুষের পেটে খাবার না থাকলে, অসুখে চিকিৎসা না পেলে যা হয়, তাই হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে কারফিউর মধ্যেও রাস্তায় নেমে পড়েছেন। তার ওপর চালানো হয়েছে হামলা। এ সময়েই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।
দেশ ছেড়েছেন মাহিন্দ রাজাপাকসের ছেলে: ওদিকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসের দ্বিতীয় ছেলে ও তার চিফ অব স্টাফ ইয়োশিথা রাজাপাকসে তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল সকালেই দেশ ছেড়ে পগার পাড়ি দিয়েছেন। ডেইলি মিরর বলছে, তারা বিআইএতে উপস্থিত হন এবং সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। তবে কি ইয়োশিথাকে তার পিতা মাহিন্দ রাজাপাকসে নিজেই দেশ থেকে বের করে দিয়েছেন! কারণ, তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার পদত্যাগের ফলে যাতে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য তিনি ছেলে ও পুত্রবধূকে নিরাপদে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে আলোচনা আছে শ্রীলঙ্কায়।
সহিংসতার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি মার্কিন দূতের
শ্রীলঙ্কায় সহিংসতার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জুলি চুং। যে বা যারা সহিংসতায় উস্কানি দিয়েছেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছেন তিনি।
এটাই রাজাপাকসেদের ইতি: জয়সুরিয়া
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক সনৎ জয়সুরিয়া সোমবারের সহিংসতা ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসের পদত্যাগের বিষয়ে টুইটারে লিখেছেন, এটাই হলো রাজাপাকসেদের ইতি। তিনি আরও লিখেছেন, গ্যালে’তে নিরপরাধ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য দিনের আলোতে এই রকম দস্যুতা আমি কখনো ভাবিনি। তিনি আরও বলেন, পুলিশের এটা মনে রাখা উচিত, তাদের দায়িত্ব হলো জনগণকে সুরক্ষা দেয়া, কোনো দুর্নীতিবাজ রাজনীতিককে সুরক্ষা দেয়া নয়। তার অনুসারী ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ন্যক্কারজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এটা ছিল রাষ্ট্র সমর্থিত ইচ্ছাকৃত ও পূর্ব পরিকল্পিত সহিংসতা।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে রাজাপাকসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান বিরোধীদের
শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হওয়ার জন্য বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধান বিরোধী দল সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (এসজেবি)। দলটির জাতীয় সংগঠক তিসা আত্তানায়েকে রোববার সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের নেতা প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে এক টেলিফোন আলাপে প্রেমাদাসা এবং এসজেবি’র অর্থনীতি বিষয়ক গুরু হার্শা ডি সিলভা উভয়ের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। এদিকে শ্রীলঙ্কার আইনজীবীদের সংগঠন বার এসোসিয়েশন অব শ্রীলঙ্কা বা বিএএসএল ১৮ মাসের জন্য একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। তাতে প্রেসিডেন্টের কোনো ক্ষমতা থাকবে না। শনিবার বিরোধী দল এসজেবি ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা বিএএসএল’র কাছ থেকে আসা এই প্রস্তাবকে সমর্থন দেবে।
বিএএসএল সংবিধানের ২০তম সংশোধনী বাতিল করারও আহ্বান জানিয়েছে। ওই সংশোধনীর মাধ্যমেই ২০২০ সালে রাজাপাকসে অবাধ ক্ষমতা পেয়েছিলেন। বিএএসএল সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে। ওই সংশোধনীতে প্রেসিডেন্টের ওপর পার্লামেন্টের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনাও শনিবার প্রেমাদাসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি এসজেবিকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করতে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ৫৫ বছর বয়স্ক প্রেমাদাসা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে, তিনি দুই রাজাপাকসের (মাহিন্দ এবং গোটাবাইয়া) নেতৃত্বাধীন কোনো সরকারে অংশ নেবেন না। এসজেবি ইতিমধ্যেই এসএলপিপি জোট সরকার এবং প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সংসদের স্পিকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেই প্রস্তাবের ওপর শিগগিরই বিতর্ক শুরু করার জন্য স্পিকার মাহিন্দ ইয়াপা আবেবর্দেনার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
প্রায় দুই মাস ধরেই শ্রীলঙ্কায় চলছে লাগাতার আন্দোলন। বিক্ষোভকারীরা দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকেই দায়ী করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রীলঙ্কা সরকার গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ফের জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এর আগেও আন্দোলন শুরুর প্রথমে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। তবে এই দফায় নিরাপত্তা বাহিনীকে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
১৯৪৮ সালে বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। গত ৯ই এপ্রিল থেকে আমদানিকৃত খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতির প্রতিবাদে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহরে থেমে থেমে বিক্ষোভ চলছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পুরো শ্রীলঙ্কা জুড়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। দেশটিতে আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ফরেন কারেন্সির রিজার্ভ ফুরিয়ে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে এবং জ্বালানি, ওষুধ ও বিদ্যুৎ সরবরাহে তীব্র ঘাটতি চলছে। এমন অবস্থায় বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে এবং তার বড় ভাই সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন