তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার আগে জাতিসংঘের জন্য একটি সংস্কার প্রস্তাব এনেছিলেন।
তার সেই প্রস্তাবকে ‘এ ফেয়ারার ওয়ার্ল্ড ইজ পসিবল: অ্যা মডেল প্রপোজাল ফর ইউনাইটেড নেশনস রিফর্ম’ নামে পুস্তকে রূপ দেয়া হয়েছে। বইটিতে তিনি বিশ্বের পাঁচ পরাশক্তির বাইরের পৃথিবী নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এরদোয়ান দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের একচ্ছত্র ক্ষমতাধর পাঁচ পরাশক্তির সমালোচনা করে আসছেন। তিনি দাবি করে আসছেন, পুরো বিশ্বের ভাগ্য নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্যের লোভ, স্বার্থ এবং ইচ্ছার কাছে জিম্মা দেয়া যাবে না।
বইটিতে এরদোয়ান দেখিয়েছেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী যে নতুন বিশ্ব তৈরি হয়েছে। এই নতুন বিশ্ব ‘মাল্টি পোলার’ কিন্তু এটি যে বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে তার কোনো নির্ভরতা নেই।
এরদোয়ান দেখিয়েছেন, মহামারি, অভিবাসন, সন্ত্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, ক্ষুধা, খরা, অবিচার, গৃহযুদ্ধ, রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা, ক্রমবর্ধমান বর্ণবাদ এবং সুরক্ষাবাদের মতো সমস্যাগুলো মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই সমস্যাগুলো সমাধানে তিনি ‘বৈশ্বিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা’র জন্য জাতিসংঘের একটি ‘ন্যায় ও বিপ্লবী সংস্কার’ চেয়েছেন।
এরদোয়ান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো প্রদান ক্ষমতার বিলোপ চান। তিনি আজ অবধি জাতিসংঘের দুই হাজার ৪৪৬ টি প্রস্তাবনার মধ্যে ২৪৯টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনায় নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো প্রদানের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
এই ভেটোগুলোর মধ্যে রাশিয়া ১১২টি, যুক্তরাষ্ট্র ৮১টি, যুক্তরাজ্য ২৯টি, ফ্রান্স ১৬টি এবং চীন ১১টি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে।
এ ছাড়া ভারত, জার্মানি, জাপান, ব্রাজিলের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়া না-হওয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন তিনি।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন