ভারত সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা প্রভাবশালী আমেরিকান এবং ইউরোপীয় শেয়ারহোল্ডারদের সাহায্যে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে জানিয়েছে জাস্টিস ফর মিয়ানমার নামের একটি স্থানীয় অধিকার গোষ্ঠী। খবর ভয়েস অব আমেরিকা।
জাস্টিস ফর মিয়ানমার অক্টোবরে শুরুতে এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বজনীন ব্যবসা ট্র্যাকিং সার্ভিস পানজিভা থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড জুলাইয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান, মেগা হিল জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের কাছে রিমোট নিয়ন্ত্রিত উইপনস স্টেশনের জন্য নানাবিধ পার্টস সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পানজিভা ভারতসহ ১৯টি দেশ থেকে সরকারের জারি করা রেকর্ড ব্যবহার করে বাণিজ্যিক শিপিং তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেই তথ্য ভাগাভাগি করে।
অনেক অনলাইন রেকর্ড ও স্টক ট্র্যাকিং সাইটে দেখা যায়, নামি-দামি বেশ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি ভারত ইলেকট্রনিকস সংস্থার শেয়ারভুক্ত। যে সংস্থাটির ৫.১ শতাংশ ভারত সরকারের মালিকানাধীন। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ডম্যান স্যাক্স এসেট ম্যানেজমেন্ট ও ভ্যানগার্ড গ্ৰুপ, ফ্রান্সের শীর্ষ ব্যাংক বিএনপি পারিবাস এবং জাপানের ইনস্যুরেন্স কোম্পানি নিপ্পন লাইফের ভারতীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অন্যান্য কয়েকটি দেশ মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ইতিমধ্যেই সে দেশের সামরিক নেতা ও তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ভারত ইলেক্ট্রনিকসকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের ব্যুরো অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটির নিষিদ্ধকরণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন জাস্টিস ফর মিয়ানমার সংস্থার মুখপাত্র ইয়াদানার মাউং। এতে করে ভারতের অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির বেলায় অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করা যাবে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এরপর জনগণের প্রতিরোধ নির্মূল করতে শত শত লোককে হত্যা করে।
এ ছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করেছে কয়েক দশকে। দেশছাড়া হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। যাদের মধ্যে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন