বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ভোলার মনপুরার গিয়াস উদ্দিন মাঝির জেলে ট্রলারে সাথে জাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় ট্রলারটি ডুবে গেছে।
এতে ট্রলারে থাকা ১১ জেলের মধ্যে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। এক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনাস্থলের পাশে থাকা মনপুরার কামাল মাঝির ট্রলার ডুবে যাওয়া ট্রলারের জীবিত আট জেলে ও মৃত দুই জেলের লাশ নিয়ে মনপুরার উদ্দ্যেশে রওনা হয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ ও ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেদের উদ্ধার করা অপর ট্রলারের মাঝি মো: কামাল।
শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রামের গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে মাছ শিকাররত অবস্থায় জাহাজের সাথে ট্রলারের সংঘর্ষে এ দুঘর্টনা ঘটে।
ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতর জেলেরা হলেন, মো: রুবেল (২৭) ও মো: মাফু (২৮)। এদের বাড়ি উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন ও দাসেরহাট গ্রামে।
অপর নিখোঁজ জেলে হলেন, উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা মজিবুল হকের ছেলে মো: মিজানুর রহমান (৩৬)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৪টায় গিয়াস উদ্দিন মাঝির ট্রলারে থাকা জেলেরা চট্টগ্রামের গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন সাগরে জাল পাতা অবস্থায় মাছ শিকার করছিল। এ সময় একটি জাহাজ পেছনে ধাক্কা দিলে সাথে সাথে ট্রলারটি ডুবে যায়। এই সময় পাশে থাকা মনপুরার কামাল মাঝির ট্রলার ডুবে যাওয়া ট্রলারের আট জেলেকে উদ্ধার করে। পরে মৃত অবস্থায় দুই জেলের লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু সাগরে নিখোঁজ থাকা এক জেলেকে অনেক খোঁজার পরও সন্ধান না পাওয়ায় জীবিত আট জেলে ও মৃত দুই জেলের লাশ নিয়ে মনপুরার দিকে কামাল মাঝির ট্রলার রওনা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই বিষয়ে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, জেলে ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে চেষ্ঠা চালানো হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিষার মো: শামীম মিঞা জানান, নিহত জেলে পরিবারদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন