করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাথে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের জন্য করোনার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী টিকা দিতে ব্যর্থ হয় ভারত। মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আসার সময় উপহার হিসেবে কিছু টিকা দেয়। কিন্তু এরপর চুক্তি অনুযায়ী টিকা দেয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে টিকা দিতে পারেনি ভারত। তখন টিকা নিয়ে বড় ধরণের সংকটের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। একটি দেশের উপর টিকার জন্য নির্ভিরতাকে তখন দায়ী করেন অনেকেই। এরপর বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ করে টিকার ব্যবস্থা করেন। বিশেষ করে চীনের সিনোফার্ম, কোভ্যাক্স সহ বিভিন্ন সোর্স থেকে টিকা সংগ্রহ শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু তখন ভারত কেবল টিকা দেয়ার আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ভারতের সকল জনগণকে আগে টিকা প্রদান না করে ভারত কোন টিকা রপ্তানী করতে পারবে না। ভারতের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী ভারতের সকল নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে আরও ১ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ আগামী বছর আগস্টের আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দেশটি থেকে টিকা রপ্তানী নিষেধ। কিন্তু তথ্যমন্ত্রী ভারত সফর করে এসে বলেছেন যে, ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসার নিয়ে যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে তা অক্টোবরের মধ্যে কেটে যাবে। আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রীও টিকা আসার ব্যাপারে একই মন্তব্য করলেন। কিন্তু এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রপ্তানী করা হবে বাংলাদেশকে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় ভারতের দেয়া আশ্বাসে এখন আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না বাংলাদেশ। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা সহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে অক্টোবরের মধ্যে ভারত বাংলদেশকে এখন টিকা দিতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন