ধর্ষণ থেকে শুরু করে নারীদের অসম্মান, একের পর এক অভিযোগে জর্জরিত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের মন্ত্রিসভা। বেশ কিছুদিন ধরেই চাপ বাড়ছে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী মরিসনের উপর। সম্প্রতি নিজের মন্ত্রিসভার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে দুই মন্ত্রীর ক্ষমতাও কমিয়েছেন মরিসন।
এবার মরিসনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড। বৃহস্পতিবার এক টুইটে তিনি বলেনঃ
"যাকে বলে বৈশ্বিকভাবে বিব্রত হওয়া। জনগণকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বে ৮৫ তম স্থানে রয়েছে। মরিসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আমরা 'সামনের সারিতে' থাকবো। এখন দেখা যাচ্ছে যে, আমরা রুয়ান্ডার (৮৬) আগে এবং বাংলাদেশের (৮৪) পেছনে।"
উক্ত লেখার সাথে কেভিন একটি তালিকার ছবিও সংযুক্ত করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের কোন দেশ তার জনসংখ্যার কত শতাংশকে ইতিমধ্যে করোনার ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে।
উল্লেখ্য, স্কট মরিসন মার্চ মাসের শেষের দিকে মেলবোর্নে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিনিধিদের সাথে এক সাক্ষাতে বলেছিলেন, আমার কোন সন্দেহ নেই যে ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা পরিকল্পনা মাফিক এগুচ্ছি। আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী অক্টোবরের মধ্যেই আমরা অন্তত প্রথম ডোজ দেওয়া সম্পন্ন করব।
কিন্তু, সম্প্রতি সরকারের ভ্যাকসিন 'রোলআউট' লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এমন অভিযোগ উঠে।
তখন মরিসন আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, এটি সোজা গণিত। ৩.৮ মিলিয়ন ডোজের মধ্যে ৩.১ মিলিয়ন ডোজ অস্ট্রেলিয়ায় আসে নি। স্পষ্টতই এটি ভ্যাকসিন কর্মসূচির প্রথমদিকে রোলআউটে খুব গুরুতর প্রভাব ফেলে।
এ নিয়ে মঙ্গলবার মরিসনের কথায় মনে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য নির্ধারিত ডোজের যে আমদানি চুক্তি করা হয়েছিল তা আটকে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ কিন্তু সংস্থাটি জানায়, তারা অস্ট্রেলিয়ার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ৩.১ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে এমন দাবি সঠিক নয়।
এদিকে, এই বিরোধের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন জুড়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রচুর ঘাটতি দেখা যাচ্ছে এবং তা অস্ট্রেলিয়ার ভ্যাকসিন কর্মসূচিকেও বিলম্বিত করেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন