ইসরায়েলের এলবিট সিস্টেমস ও গাইয়া অটোমেটিভ মিয়ানমারের কাছে এসব ড্রোন ও স্পাইওয়্যার বিক্রি করছে। এধরনের নজরদারি ড্রোন ও অত্যাধুনিক হ্যাকিং সফ্টওয়্যার ইসরায়েলি কোম্পানি ছাড়াও পশ্চিমা কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের কাছে বিক্রি করছে। নিউ আরব
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে স্পাইওয়্যারগুলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ ব্যবহার করছে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে।
এর আগে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যাযজ্ঞের কারণে বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু ইসরায়েল সহ অনেক দেশই তা মানছে না।
এর আগেও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞে ইসরায়েলি অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।
মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিতে যেসব সামরিক যান ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো ইসরায়েলের গাইয়া অটোমেটিভ ইন্ড্রাস্ট্রিজের তৈরি। নেইপিদোর রাস্তায় এসব সামরিক যান নিয়ে সেনাদের টহল দিতে দেখা গেছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা এসব যান যে ইসরায়েলের তৈরি তা নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি কোম্পানিটির প্রধান শলোমি শারজা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন কোনো দেশে অস্ত্র রফতানি করার আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়েই তা করে। তবে তিনি মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনকারীদের সাধুবাদ জানান।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে ইসরায়েলের এলবিট ও ডিজিটাল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি সেলেব্রাইটের অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে মিয়ানমার সরকারের দেয়া বাজেট বরাদ্দেই। এলবিট স্বীকার করেছে সামরিকমানের নজরদারি ড্রোনের ২০১৯ সালে মিয়ানমারের কাছে বিক্রি করা হয়। ওইসময়ে তা বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল। মিয়ানমার ফিউচার সাইন্স নামে একটি কোম্পানির কাছেও এধরনের যন্ত্রাংশ বিক্রি করেছে এলবিট।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন