ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে পারমানবিক সমঝোতা থেকে এক তরফাভাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই যে বের হয়ে গেলেন তারপর ইরান অনড় থাকায় হতাশ বাইডেন প্রশাসন। এখন তিনি যুদ্ধ নাকি ফের পরমানু সমঝোতায় ফিরে আসবেন তা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
মার্কিন গোয়েন্দা তদন্তে সৌদি যুবরাজ বিন সালমানই যে সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল তা ফাঁস করা ছাড়া তার বিরুদ্ধে আর কোনো পদক্ষেপই নিতে পারছে না বাইডেন প্রশাসন। বরং সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। মার্কিন গোয়েন্দা তদন্তে এও বলা হয়েছে খাসোগজিকে হত্যায় আমিরাতের উস্কানি ছিল।
অন্যদিকে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিকল্প প্রধানমন্ত্রী গান্তজ একাধিকবার তা প্রকাশ্যে বলছেন।
আমিরাত ও সৌদি আরবও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চান। বাইডেন প্রশাসনকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বাইডেনের টেলিফোনে বিষয়টি নিয়ে আলাপও হয়েছে।
ইরান অব্যাহতভাবে বলছে পরমাণু সমঝোতায় ফেরা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আর কোনো পথ নেই। যুদ্ধ ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগে ট্রাম্পের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে।
পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে ইউরোপের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের প্রস্তাব ফিরিয়ে তেহরান বলছে মার্কিন অবরোধ, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিঃশর্তভাবে পারমানবিক সমঝোতায় ফিরতে হবে।
গত ৮ বছরে ইরানের গ্যাস রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিপরেিত বিকল্প অর্থনীতির উৎস খুঁজে নিয়েছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খাতিবজাদেহ বলেছেন আমরা পদক্ষেপের বিপরীতে পদক্ষেপ, কাজের বদলে কাজ করব। ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে এর বিপরীতে ইতিবাচক পদক্ষেপ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ভিন্ন আচরণ দেখালে আমরাও অনুরূপ ব্যবস্থা নেব।
এখন বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হচ্ছে বাইডেন কোন পথ অনুসরণ করবেন, যুদ্ধ না সমঝোতা?আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন