সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন। দুই আরব দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রির এ অনুমোদন দিয়েছিলেন সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সৌদির কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ও আমিরাতের কাছে এফ-থার্টি ভাইভ ফাইটার জেট বিক্রি।
নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে অ্যান্তনি ব্লিনকেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলে আলজাজিরা এক খবরে জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি ও আমিরাতের সঙ্গে যে অস্ত্র বাণিজ্য করেছিলেন তা যাচাই করে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের কৌশলগত লক্ষ্য ও পররাষ্ট্র নীতিকে প্রসারিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হতে এই যাচাই। এ মুহূর্তে আমরা এটাই করছি।’
ওয়াশিংটনের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক পুননির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি ট্রাম্পের নীতি যাচাই বা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে অনেকগুলো নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
ট্রাম্প তার শাসনামলে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া ও ইরানের বিরুদ্ধের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
২০১৯ এর মে মাসে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ট্রাম্প জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন। তখন কংগ্রেসের আপত্তি সত্ত্বেও তিনি সৌদি, আমিরাত ও জর্ডানের কাছে আটশ কোটি ডলার অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নেন। গত বছরের ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন সৌদিতে ২৯ কোটি ডলারের হালকা অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনও দিয়ে যায়।
গত বছরের নভেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসে জানায়, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এফ-থার্টি ফাইভ ফাইটার জেট ও ড্রোনসহ বিভিন্ন উন্নত অস্ত্র বিক্রির জন্য দুই হাজার তিনশ কোটি ডলারের চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে। আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হওয়ার পরপরই অস্ত্র বিক্রির এই ঘোষণা আসে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন