তুরস্কের খাদ্য রফতানি প্রথমবারের মতো ২০ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় এক লাখ ৬৯ হাজার আট শ’ তিন কোটি টাকা) ছাড়াবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে লকডাউনের কারণে চাহিদার ফলে খাদ্য রফতানির পরিমাণ বেড়েছে।
মহামারীতে যখন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, খাদ্যসহ বিভিন্ন খাতের তখন লক্ষ্যণীয় উন্নতি হয়েছে।
মহামারীর সময় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও তুরস্ক এই খাতে তার লক্ষ্যণীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে, ২০২০ সালে খাদ্যশস্য, ডাল ও তাজা সবজি-ফলের ক্ষেত্রে রফতানির উচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
পাস্তা থেকে জুস পর্যন্ত সবধরনের উৎপাদিত খাদ্যের রফতানির আয় ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়কালে বেড়ে ১৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে চার দশমিক দুই ছয় ডলার উদ্বৃত্তি নিয়ে প্রথমবারের মতো খাদ্যখাতে প্রতি টন এক হাজার ডলারের বেশি মূল্য ছাড়িয়েছে।
তুরস্কের ফেডারেশন অব ফুড অ্যান্ড ড্রিংক ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ইকনুর মেনলিক আনাদোলু এজেন্সিকে এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘খাদ্য শিল্পের জন্য সঙ্কট সর্বদাই আলোচ্য বিষয়।’
মেনলিক বলেন, আগে থেকেই মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে করোনাভাইরাস মহামারীতে খাদ্য শিল্প সহজেই খাপ খাওয়াতে সক্ষম হয়।
খাদ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত শিল্প কারখানা কখনোই বন্ধ হবে না জানিয়ে মেনলিক বলেন, ‘দুগ্ধজাত খাদ্য উৎপাদনসহ নতুন নতুন কারখানা চালু করা হচ্ছে।’
সূত্র : ইয়েনি শাফাক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন