বিশ্বে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে লক্ষণীয়ভাবে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। তারা বিভিন্ন দেশের সরকারের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। বৈশ্বিক আধিপত্য বিস্তারে এক্ষেত্রে কৌশলগতভাবে ইউরোপকে নতুন সরঞ্জাম হিসেবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে চীন সরকার।
সম্প্রতি ‘হিডেন হ্যান্ড : এক্সপোজিং হাউ দ্য চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি ইজ রিশ্যাপিং দ্য ওয়ার্ল্ড’ বইতে এমনটি দাবি করেছেন লেখক হ্যামিল্টন এবং মেরিকে অহলবার্গ।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ফোর্বস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হ্যামিল্টন এবং ওহলবার্গ লিখেছেন, দীর্ঘ সময়ের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ইউরোপকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে সিসিপি। ইউরোপ জয় করে চীন সরকার বিশ্বকে বোঝাতে চায় যে চীন হলো ‘বহুপাক্ষিকতার’ ক্ষেত্রে সেরা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদ ও একতরফাবাদের ক্ষেত্রে চীন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘‘পাল্টা অস্ত্র’’।’
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে চীনা পণ্য প্রবেশ করবে ইউরোপের বাজারে। ইউরোপে চীনের কোম্পানির অগ্রাধিকারমূলক সুযোগ-সুবিধা যাতে না কমে- এ চুক্তিকে সেই কৌশলে ব্যবহার করছে সিসিপি। অথচ চীনে ইউরোপিয়ান কোম্পানিকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে নামমাত্র প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
হ্যামিল্টন নীতিশাস্ত্রের একজন অস্ট্রেলিয়ান অধ্যাপক এবং ওহলবার্গ কমিউনিস্ট প্রচারণার বিষয়ে একজন গবেষণামূলক প্রবন্ধ লেখক। তারা দুজনে একসঙ্গে গবেষণা চালিয়েছেন যে, সিসিপি কার্যকরভাবে বিশ্বে প্রভাব বিস্তারকারী দেশগুলোকে পরিচালনা করছে। বিশ্বে ভূরাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে তারা ইউরোপকে নিজেদের ঢাল হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে।
হ্যামিল্টন ও ওহলবার্গ চীনের প্রভাব বিস্তারকারী একাধিক উৎসের কথা তাদের বইতে বলেছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চীনের সংস্থা, ক্লাব ও কোম্পানিগুলো কমিউনিস্ট সরকারের কৌশলগত কার্যসিদ্ধি করছে বলে তারা উল্লেখ করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন