সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বন্দি অবস্থায় এক ব্যক্তিকে (৪১) মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে তাকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগে তার মাকে আটক করেছে পুলিশ। কিশোর বয়সে নিজের ছেলেকে তিনি বাড়িতে বন্দি করে রাখেন। খবর ডেইলি মেইল, এবিসি ও স্কাই নিউজের।
১৩ বছর বয়স থেকে বন্দি করে রাখা সেই ছেলের বয়স এখন ৪১। দীর্ঘদিন বন্দিদশায় অপুষ্টিতে ভুগে রুগ্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের হেনিঞ্জ শহরতলি এলাকায় এ বর্বর ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে ওই ব্যক্তি বন্দি ছিলেন। তাকে কেন আটকে রাখা হয়েছিল সে রহস্য এখনও উদ্ঘাটন করা যায়নি।
এ ব্যাপারে ওলসন নামে ওই ৭০ বছর বয়সী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ওই ব্যক্তির যখন ১৩ বছর বয়স, সেই সময় আচমকাই একদিন স্কুল ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যান তা মা। সেই থেকে আর কখনও তাকে দেখা যায়নি।
গত রোববার ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সিনিসপত্র আনতে হাসপাতাল থেকে তার ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখতে পান বাড়ির দরজা খোলা।
ভেতরে গিয়ে দেখেন নোংরা একটি কক্ষে বন্দি ওই নারীর ছেলে। সংক্রমণ থেকে তার পায়ে পচন ধরে গেছে। ঠিকমতো পা ফেলে হাঁটতে পারছেন না। একটা দাঁতও অবশিষ্ট নেই। মুখ ফুটে একটি কথাও বেরোচ্ছে না। তার এমন অবস্থা দেখে ওই আত্মীয়রা চিকিৎসকদের বিষয়টি জানান। তারাই পুলিশে খবর দেন।
স্টকহোম পুলিশের মুখপাত্র ওলা ওস্টারলিং সাংবাদিকদের বলেন, ওই মহিলা বেআইনিভাবে নিজের ছেলেকে স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রেখেছিলেন। শারীরিক নির্যাতনও চালানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন ছেলেকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে মেনে নিলেও ২৮ বছরের সময়কাল নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই নারী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন