নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আতিকুল এবং তার স্ত্রীর রয়েল সুইট ক্যাফে নামের একটি মিষ্টি তৈরির ব্যবসা ছিল। সেখানে কাজ করাতে বাংলাদেশ থেকে কয়েক জনকে নিয়ে যান। তারা ধারের টাকায় নিউজিল্যান্ডে যান। আতিকুল কর্মীদের ঘণ্টাপ্রতি দিতেন ছয় ডলার। বাধ্যতামুলকভাবে কাজ করতে হতো শ্রমিকদের দিনরাত। ছিল না সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে দোকানের কর্মীরা আতিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগে এখন সাড়ে চার বছরের সাজা খাটছেন। সম্প্রতি প্যারোল চেয়ে নিরাশ হয়েছেন আতিকুল। আতিকুল প্যারোল চান গত মাসে। কিন্তু গত শনিবার তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। রোববার নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড ওই রায়ের বিস্তারিত প্রকাশ করেছে।
প্যারোল বোর্ড বলছে, রায় ঘোষণার সময় বিচারকেরা দেখেছেন মিস্টার ইসলাম তার কর্মকাণ্ডের কোনো দায় নিতে নারাজ। তার কোনো অনুশোচনাও ছিল না। প্যানেল প্রধান জেন লভেল স্মিথ বলেন, আতিকুল তার ১২ বছর বয়সী ছেলে সন্তানের সঙ্গে থাকতে মুক্তি চেয়েছেন। বোর্ডকে বলেছেন সব পরিস্থিতির জন্য তিনি খুব দুঃখিত। একই সঙ্গে আবার বলছেন এই রায় তার জন্য মারাত্মক হয়ে গেছে। বোর্ড মনে করছে আতিকুলের দুঃখ প্রকাশের ধরন সন্তোষজনক নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আতিকুল যে ব্যবহার করেছেন তাতে আদালত ক্ষুব্ধ। আতিকুলের সঙ্গে তার স্ত্রী নাফিসা আহমেদেরও সাজা হয়েছিল, দুই বছর ছয় মাস। এক বছরের কম সময় জেল খেটে নাফিসা সাময়িক মুক্তি পান।
আদালত মনে করছে, কর্মীদের প্রতি তার আচরণ লজ্জাজনক। মুক্তি পেলে তিনি ভুক্তভোগীদের ক্ষতির কারণ হতে পারেন। ২০২১ সালের জুনে আতিকুলের বিষয়ে আবার শুনানি হবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন