পররাষ্ট্রনীতি, ইসলামপন্থী দলগুলোকে সমর্থন ও সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় বিগত কয়েক বছর তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
তবে জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে ভিন্ন কথা বললেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফায়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ।
তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ‘ভালো, বন্ধুত্বপূর্ণ’ বলে দাবি করেছেন তিনি। এ সময় সৌদিতে তুর্কি বয়কট নিয়েও কথা বলেন ফায়সাল।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেমন একটি সংখ্যক মানুষ তিনি দেখতে পাচ্ছেন না যারা বয়কটের অস্তিত্ব সমর্থন করবে।
সৌদিতে শুরু হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলন ঘিরে শুক্রবার দিনের শেষভাগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
তুর্কি প্রেসিডেন্সি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এরদোয়ান এবং সালমান সম্পর্কোন্নয়ন এবং বিভিন্ন বিষয় সমাধানে আলোচনার চ্যানেল উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
দুই নেতা জি-২০ সম্মেলন নিয়েও আলোচনা করেছেন। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি সৌদি আরব। তুর্কি প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে ভিডিও বার্তা দেন।
সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, জি-২০টির কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের বিষয়ে এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বাদশাহ সালমান।
গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। গত ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
গত এক বছর ধরে তুর্কি পণ্য আমদানিতে সৌদি আরবে অঘোষিত বয়কট চলছে বলে তুর্কি ও সৌদি ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সৌদির ঘনিষ্ঠ মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সঙ্গে ‘শীতল’ সম্পর্ক বিবেচনায় তুরস্কের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে রিয়াদ।
এরদোয়ানকে বাদশাহ সালমানের ফোন তারই ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এর আগে তুরস্কের ইজমিরে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সরবরাহেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি বাদশাহ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন