বিনা প্ররোচনা ছাড়াই শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের গুরেজ ও উরি সেক্টরে একাধিকবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকসেনা গোলাবর্ষণ করে। পাক শেলের আঘাতে বিএসএফের এক অফিসার সহ ৫ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। পাক হামলায় এখনও পর্যন্ত ৬ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে শুক্রবার দিনভর একাধিক সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় ব্যাপক ভাবে গোলাবর্ষণ করেছে পাকসেনা। অন্যদিকে ভারতের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের দুই স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের কমান্ডার-সহ আট সেনা নিহত হয়েছেন। ঘায়েল হয়েছেন ওরও ১২ পাক জওয়ান।ভারতীয় সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পুরনো কৌশলেই ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীকে গোলাগুলিতে ব্যস্ত রাখার তালে ছিল পাকিস্তানি সেনারা। সেই সুযোগ বুঝে সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছিল পাক সেনা। তবে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় ভারত। এলওসি বরাবর গোলাবারুদ মজুদ করে রাখা পাকিস্তানের একাধিক বাংকার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেইসঙ্গে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাডগুলিও মিসাইল হামলায় মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শ্রীনগরের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া জানান, পাকিস্তান মর্টার ছাড়াও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল। তিনি নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের বাংকার, লঞ্চপ্যাড ছাড়াও ফুয়েল ডাম্পসগুলিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা। যেখানে দেখা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের উরি, নাওগাঁ, তাংধর, কিরান ও বারামুল্লার গপরে, কুপওয়ারা ও বান্দিপোরা জেলার সংঘর্ষের জেরে পাকিস্তানি বাঙ্কারসগুলোকে কীভাবে মিসাইল ও রকেট দিয়ে ভেঙে উড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় অ্যান্টি ট্যাঙ্কগুলো।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এলওসি বরাবার, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ করানোর জন্য লঞ্চ প্যাড, জ্বালানি ও গোলাবারুদ সংগ্রহ কেন্দ্রগুলিকে ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল। সেগুলিও ধব্ংস করে দিয়েছে ভারতীয় সেনারা।
প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহে এই নিয়ে দুবার হামলা চালাল পাকিস্তান। এর আগে ৭-৮ নভম্বরে মাছাল সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই সময় তিন সন্ত্রাসবাদীকেও খতম করে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন