নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গড়িয়ার পাঁচপোতার দেশবন্ধুনগরে একটি বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। উদ্ধার হয়েছে ২৮ লক্ষ ১ হাজার ৫৫০ টাকা। সোমবার রাতে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস ওই বাড়িতে হানা দিয়ে টাকা ভর্তি দুটি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করেছে।
এই টাকার উৎস কী, তার কোনও সঠিক তথ্য দিতে পারেননি ওই বাড়ির বাসিন্দারা। পুলিস জানিয়েছে, বাড়ির মালিক অমিত দাস বেপাত্তা। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে বাড়ির দুই মহিলা সহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বারুইপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, কোনও বড় অপরাধমূলক কাজের জন্যই এই টাকা জোগাড় করা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। গোটা বিষয়টিই
খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাঁচপোতা এলাকায় সমাজবিরোধীরা যে তৎপরতা বাড়াচ্ছে, সেই খবর কয়েকদিন আগেই আমাদের কাছে এসেছিল। সেই মতো নরেন্দ্রপুর থানাকে সতর্ক থাকতে বলা হয় এবং নজরদারি বৃদ্ধি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরমধ্যেই খবর আসে, বিপুল পরিমাণ টাকা জোগাড় করে পাঁচপোতার একটি বাড়িতে রাখা হয়েছে। যা দু’দিনের মধ্যে হাতবদল হবে এবং সরানো হবে অন্য
জায়গায়। এরপরই পুলিস অভিযান চালিয়ে এই টাকা উদ্ধার করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহকর্তা অমিত দাস কয়েকজন সমাজবিরোধীর সঙ্গে নিত্য ওঠাবসা করে। মাসখানেক হল এক কুখ্যাত সমাজবিরোধীর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে এই অমিতের। দালালি, সাট্টা-জুয়ার ঠেক, গাঁজার কারবার— সবই চলে ওই সমাজবিরোধীর নেতৃত্বে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও তাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তারে গড়িমসি করছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই সমাজবিরোধী দিনকয়েক আগে অমিতের বাড়িতে এসে এই বিপুল পরিমাণ টাকা রেখে গিয়েছে। দু’টি ব্যাগই ভর্তি ছিল নোটে। টাকা মজুতের কথা কোনওভাবে জেনে যায় পুলিসের সোর্সরা। তারাই খবর দেয় পুলিসকে। অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, বাড়ির দুই মহিলা এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা এক যুবককে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা কোনও উত্তর দিতে পারেননি। এখন অমিতকে ধরতে পারলেই হবে রহস্যভেদ। জানা যাবে এই টাকার উৎস। এর পিছনে আর কারা রয়েছে, সেই তথ্যও উঠে আসবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন