কোভিড মন্দায় বিশেষ সহায়তা চেয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিল আমেরিকান ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। কোনো সাড়া না পেয়ে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের সিইও ডগ পার্কার বলেছেন ১৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই ছাড়া আর কোনো বিকল্প দেখছেন না তিনি। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সিইও স্কট কিরবি বলেন ১৩ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে এবং এ দিনটি আমাদের জন্যে খুব দুঃখের হয়ে থাকল। সিএনএন/আরটি
এদিকে ব্রিটিশ ও ডাচ বহুজাতিক জালানি কোম্পানি শেল অয়েল ১০ শতাংশ লোকবল কমাতে ১৯ হাজার লোকবল ছাঁটাই করছে। শেল আগামী দুই বছরে সাশ্রয় করবে ২ বিলিয়ন পাউন্ড। ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন কোম্পানিকে কোভিড মন্দা থেকে রক্ষা করতে মাল্টি-ট্রিলিয়ন সহায়তা প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরো সময় লাগবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এয়ারলাইন্সকে লোকসান থেকে বাচাতে ২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এর কোনো নিশ্চয়তা এখনো পাওয়া যায়নি। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সিইও স্কট কিরবি বলেন হাজার হাজার মানুষের চাকরি বাচাতে এখনই আমাদের নির্বাচিত নেতাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে অনুরোধ করছি।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স কোভিডের কারণে লোকসান দিয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ক্ষতি হয়েছে ৩.৩ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য ৭টি এয়ারলাইন্সের এধরনের লোকসান আগামী বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এয়ারলাইন্সগুলো তাদের লোকবল ছাঁটাই না করে ব্যবসা পুনরুদ্ধারের জন্যে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু তাতে তেমন সাড়া মিলছে না। ফলে আগেভাগে লোকবলকে অবসর প্রদান ও সাশ্রয়ীমূলক বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এ খাত ছাড়াছেন আরো ৫০ হাজার কর্মী। এর পাশাপাশি আমেরিকা ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ১৭ হাজার লোকবল চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
অন্যদিকে শেল অয়েল কর্মী ছাঁটাই ছাড়াও কম কার্বনযুক্ত জালানি ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। সারাবিশ্বে শেল অয়েলের লোকবলের সংখ্যা হচ্ছে ৮৩ হাজার। তেলের দর ও চাহিদা দুই কমে যাওয়ায় শেল অয়েল সাশ্রয়মূলক নীতি নিতে বাধ্য হয়েছে। গত মাসে শেল তাদের ব্যবসার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ নীতি গ্রহণ করে। শেলের মালিক বেন ভ্যান বার্ডেন আগামী মার্চের আগে ৩.১ বিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয়ের জন্যে অভিমত দেন। আগামী ২০২২ সাল নাগাদ ১৫’শ কর্মীকে অবসরও দেবে শেল। একই সঙ্গে শেল দিনে ৩ হাজার ৫০ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাস করেছে। এছাড়া শেলের যে ৪৫ হাজার পেট্রোল স্টেশন রয়েছে সেখানেও কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গত বছর শেল’এর খরচ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন