রাশিয়া করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে সারা বিশ্বে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন ব্রিটিশ সেনাপ্রধান জেনারেল স্যার নিক কার্টার। শুধু রাশিয়াই নয়, করোনার টিকা নিয়ে প্রচারণার (প্রপাগান্ডা) জন্য চীনকেও অভিযুক্ত করেছেন তিনি। তার ভাষ্য, এই দুই দেশ ‘রাজনৈতিক যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে করোনার টিকা নিয়ে আগ্রাসী প্রচারণা চালাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য পশ্চিমের দেশগুলোর মধ্যে সংহতি নষ্ট করা।
গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জে দেওয়া এক বক্তব্যে এ কথা বলেন জেনারেল কার্টার। তিনি ‘একনায়ক’ প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে তথ্যের পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ করেন। সেনাপ্রধান বলেন, কোভিড-১৯ সংকট নিয়ে কৌশলগত জয়ের জন্যই টিকা নিয়ে এসব কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।
সেনাপ্রধান কার্টার আরও বলেন, মিথ্যা প্রচারণার লক্ষ্য হিসেবে তিনি টিকাবিরোধী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে সক্রিয় করার বিষয়টি চিহ্নিত করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি টিকা নিয়ে গত জুলাইয়ে ইউক্রেন থেকে প্রচারিত একটি ভুয়া খবরের কথা উল্লেখ করেন। অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এই তথ্য উন্মোচন করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ে রাশিয়াপন্থী স্বঘোষিত রাষ্ট্র লুহানস্কের একটি ওয়েবসাইটে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়। যেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর টিকার পরীক্ষা চালাচ্ছে। আর এ সময় টিকা গ্রহণকারী কয়েক স্বেচ্ছাসেবী মারা গেছেন।
আদতে এ ধরনের টিকার ট্রায়াল হয়নি। কিন্তু বিশ্বের নানা ভাষায় এই উড়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের একটি উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন কার্টার। তিনি জানান, ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে প্রচারণা ও মিথ্যা তথ্য রোধ করতে ‘৭৭ ব্রিগেড’ নামে একটি ইউনিট করেছে।
কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্য অভিযোগ করেছিল, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট হ্যাকাররা তাদের দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন পরীক্ষাগারের তথ্য চুরির চেষ্টা করছে। এসব পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি হচ্ছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন