পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সাক্ষাৎ করতে চাইলেও তাতে সম্মত হয়নি ভ্যাটিকান। সেখানকার বিশপ দফতর বলছে, নির্বাচনের সময়ে পোপ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করেন না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে ট্রাম্প প্রশাসন পোপ ফ্রান্সিসকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভ্যাটিকানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
বিবিসি ও গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ভ্যাটিকানের এ পদক্ষেপ চীন ও ক্যাথলিক গির্জার বিষয়ে পম্পেওর মন্তব্যের পর সৃষ্ট কূটনৈতিক বিতর্কে আরেকটি মাত্রা যোগ করেছে।
বুধবার রোমে এক ভাষণে পম্পেও চীনে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ভ্যাটিকানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ চীনেই সবচেয়ে বেশি।
ভ্যাটিকানের শীর্ষ দুই কূটনীতিক রাষ্ট্র সচিব কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্চবিশপ পল গ্যালাগার বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিস পম্পেওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না।
কার্ডিনাল পারোলিন বলেন, ইতোমধ্যে পোপ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক নেতাদের তিনি গ্রহণ করবেন না– এটিই কারণ।
গত মাসের প্রথম দিকে এক নিবন্ধে পম্পেও বলেছিলেন, বিশপ নিয়োগের বিষয়ে চীনের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করার মাধ্যমে ক্যাথলিক গির্জা তার নৈতিক কর্তৃত্বকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
রক্ষণশীল ক্যাথলিক ভোটারসহ যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করছে। এদের অনেকে পোপ ফ্রান্সিসকে অতিরিক্ত উদার বলে মনে করেন।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, চীনে অনেক ক্যাথলিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। চীনের সরকারি ক্যাথলিক সমিতির পরিবর্তে পোপের প্রতি আনুগত্যের জন্য আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এসব সত্ত্বেও চীনা বিশপদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু মতামত রাখার জন্য ২০১৮ সালে চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ভ্যাটিকান।
ওই সময় পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন এ চুক্তি অতীতের ক্ষতগুলো সারিয়ে তুলবে এবং চীনে ক্যাথলিকদের পুরোপুরি একতাবদ্ধ করবে।
কিছু ক্যাথলিকের (যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিকরাও রয়েছেন) বিরোধিতা সত্ত্বেও আগামী মাসে ওই চুক্তি নবায়ন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন