সোমবার হাওরে মাছ ধরতে যান আব্দুস সালাম (৫২)। সেখানে সাপে কামড় দেয় তাকে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হবিগগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতলে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ওইদিন রাত ৮টায় মৃত ঘোষণা করেন।
পরে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে আসে মরদেহ। তবে সেখানে এক ওঝা (কবিরাজ) তাকে ঝাঁড়ফুক দিয়ে সুস্থ করবেন বলে ঘোষণা দেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। এরপর শুরু হয় আয়োজন। বাড়ির পাশে একটি শীতল পাটিতে রাখা হয় মরদেহ। উপরে ত্রিপল টাঙিয়ে ছাউনি দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় কবিরাজের ঝাঁড়ফুক কাণ্ড। একদিন চলে তার ব্যর্থ চেষ্টা।
একদিন পর ওই ওঝা আশা ছেড়ে দিলে বানিয়াচং থেকে আসে আরেকজন। তিনিও ঝাঁড়ফুক দেওয়া শুরু করেন। এতেও অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে স্থানীয় লোকজন আশা ছেড়ে দেন। পরে আজ বুধবার সকালে আব্দুস সালামের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এমন ঘটনা ঘটে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রামে। আব্দুস সালাম ওই গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। এদিকে সাপের কামড়ে মৃত ব্যাক্তিকে ঝাঁড়ফুক দিয়ে জীবন্ত করা হবে শুনতে হবে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার লোকজন এসে সেখানে সমবেত হয়।
ছোট বহুলা গ্রামের আইনজীবী সহকারী মো. কুতুব উদ্দিন রুবেল জানান, ওঝার ঝাঁড়ফুকের খবর পেয়ে হাজার হাজার লোক বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন। কিন্ত ওঝার কেরামতি কাজ না করায় বুধবার সকালে আব্দুস সালামকে দাফন করা হয়।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মাসুক আলী জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা তার জানা নেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন