প্রাণঘাতী এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার পর বিশ্বে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মার্কিন নাগরিক টিমোথি রে ব্রাউন মারা গেছেন। এইচআইভির সঙ্গে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও আরেক ঘাতক ক্যান্সারের কাছে হার মেনেছেন তিনি।
বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে টিমোথির তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জার্মানির রাজধানী বার্লিনে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা টিমোথি রে ব্রাউন ‘দ্য বার্লিন প্যাসেন্ট’ নামেও পরিচিত ছিলেন। একজন দাতা তাকে অস্থিমজ্জা দান করেছিলেন।
অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হলে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধের দরকার হয় না এবং এইচআইভি ভাইরাস থেকে মুক্ত হন রোগী। ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোস্যাইটি বলছে, এইচআইভি নিরাময় সম্ভব; বিশ্বকে সেই আশা দেখিয়েছিলেন ব্রাউন।
টিমোথি ব্রাউন (৫৪) যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বার্লিনে বসবাসের সময় ১৯৯৫ সালে এইআইভিতে আক্রান্ত হন তিনি। পরে ২০০৭ সালে তার ব্ল্যাড ক্যান্সার ধরা পড়ে।
চিকিৎসা চলাকালীন দেখা যায়, তার বোন ম্যারোতে ক্যান্সার কোষ তৈরি হচ্ছে। পরে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয় তার। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নতুন স্টেম সেল শরীরে যাওয়ার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়।
এমনকি শরীর থেকে ক্যান্সারও নিরাময় হয় টিমোথির। কিন্তু গত সপ্তাহে মার্কিন এই নাগরিক শরীরে প্রাণঘাতী ক্যান্সার ফিরে আসার তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন। ক্যান্সারের একেবারে শেষ ধাপে পৌঁছানোয় এবার আর প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে রেহাই মিলল না টিমোথির।
টিমোথির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোস্যাইটি।
সূত্র : বিবিসি, ডি ডব্লিউ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন