অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া উপকূলে বালুর চরে আটকা পড়ে কমপক্ষে ৯০টি তিমির মৃত্যু হয়েছে। উপকূলের বালুর চরে আটকা পড়েছিল ২৭০টি তিমি। যার এক তৃতীয়াংশ এরই মধ্যে মারা গেছে। আটকে পড়া বাকি তিমিদের মধ্যেও আরও মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার স্থানীয় অধিবাসীরা তিমির ওই বিশাল দলটিকে উপকূলে আবিষ্কার করেন। তিমিগুলো উপকূলে আটকা পড়েছিল। ফলে পানির অভাবে ছটফট করতে করতেই অনেক তিমির মৃত্যু হয়েছে।
সমুদ্র বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ কর্মীরা বিশালসংখ্যক এই তিমির দলটিকে উদ্ধারের আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাসমানিয়া দ্বীপে দেখতে পাওয়া সামুদ্রিক ডলফিন প্রজাতির এই পাইলট তিমি সাধারণত লম্বায় সাত মিটার বা ২৩ ফুট হয় এবং এদের ওজন হয় প্রায় তিন টন।
তবে কিভাবে এতগুলো তিমি উপকূলে এসে আটকা পড়ল সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তিমিদের উপকূলে আসার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু একসঙ্গে এতো তিমি সচারাচর দেখা যায় না।
তাসমানিয়ার মেরিটাইম কনজারভেশন প্রোগ্রামের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই তিমিগুলো তিনটি দলে বিভক্ত ছিল। উদ্ধারকারীরা সোমবার রাতে সেখানে উপস্থিত হয়ে তিমিগুলোকে দেখতে পায়।
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড উপকূলে প্রায়ই এভাবে দল বেঁধে তিমিদের আসতে দেখা যায়। গবেষকরা বলছেন, এরা দলে দলে চলাফেরা করে এবং এদের একজন দলনেতা থাকে।
তাদের মধ্যেই সামাজিক বন্ধন খুব দৃঢ় এবং তারা দলনেতার দেখানো পথেই চলে। এর আগে ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ড উপকূলে দুই শতাধিক পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছিল।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন