গত জুলাই থেকে আমিরাতে টিকার ট্রায়াল শুরু করে সিনোভ্যাক। প্রায় ৩১ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে টিকা দেওয়ার পর এখন ২৮ দিনের ব্যবধানে টিকার দুটি ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হচ্ছে। টিকার ডোজে এখনও কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। টাইমস অব ইন্ডিয়া
গত শনিবার থেকেই দৈনিক সংক্রমণ আচমকা বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার ৭৭৭ জন ফের কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার অনুমতি দিল দেশটির সরকার।
আমিরাতের ন্যাশনাল এমার্জেন্সি ক্রাইসিস অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি টুইটে জানিয়েছে, হাই-রিস্ক গ্রুপের সদস্যদের যেমন ডাক্তার-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী যারা কাছ থেকে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা করছেন তাদের আগে টিকার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
সিনোফার্মের ভাইরোলজিস্টদের দাবি, টিকার ডোজে মাইল্ড বা হাল্কা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই। সিনোফার্ম ইতিমধ্যেই তাদের টিকার প্রথম দুই পর্বের ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে এনেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই টিকা শরীরে ঢুকে রক্তের বি-লিম্ফোসাইট কোষ তথা বি-কোষকে সক্রিয় করে তুলেছে। ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে রক্তরসে। পাশাপাশি, টি-কোষও সক্রিয় হয়েছে। এই টি-কোষ হল শরীরের প্রতিরক্ষার মূল অস্ত্র। সিনোফার্ম দাবি করেছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ঠিক এই কাজটাই করছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন