অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া। গত মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা। এবার রাশিয়ার ওই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পন্ন না করার দাবি করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
বিশ্বে চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশ নেয়া যে ৯টি ভ্যাকসিনের তালিকা ডাব্লিউএইচও আছে। সেখানে রাশিয়ার তৈরি করা এই ভ্যাকসিনটির নাম নেই। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদ প্রতিদিন।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য কঠোরভাবে পর্যালোচনা করেই ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেবে তারা।
ডাব্লিউএইচও’র তথ্য মতে, এই ভ্যাকসিন এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের বা ফাইনাল স্টেজ পরীক্ষা, যেখানে কয়েক হাজার মানুষের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়, তা করা হয়নি।
সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেলের উপদেষ্টা ড. ব্রুস এলিওয়ার্ড বলেন, ‘এই মুহূর্তে রাশিয়ার ভ্যাকসিনটিকে ছাড়পত্র দেয়ার মতো তথ্য আমাদের হাতে নেই। ডাব্লিউএইচও রাশিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে, যাতে এই প্রতিষেধক সম্পর্কে আরো বেশি বেশি তথ্য পাওয়া যায়। কী কী পর্যায়ের ট্রায়াল হয়েছে তা জানা যায়। তারপরই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবো।’
প্রসঙ্গত, রাশিয়া এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল করতে দুই মাসেরও কম সময় লেগেছে। এ বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, রাশিয়া তাদের আবিস্কৃত ভ্যাকসিন সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য সরবরাহ করেনি। তাই বিনা প্রশ্নে তাদের ভ্যাকসিনকে কার্যকর বলে মেনে নেয়া সম্ভব নয়।
এর আগে পুতিন বলেছিলেন, গত মঙ্গলবার মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি করা এই ভ্যাকসিন রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পেয়েছে। শিগগিরই গণহারে এই ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেছিলেন, এর মধ্যেই তার নিজের মেয়ে করোনার এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভ্যাকসিন নেয়ার পর তার মেয়ের শরীরের তাপমাত্রা হালকা বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু দ্রুতই তা কমে যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন