যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সমঝোতায় পৌঁছেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর পর থেকে আমিরাতের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে বহির্বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধীদলীয় মনোনীত প্রার্থী জো বাইডেন এ পদক্ষেপকে ‘সাহসী’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান ও তুরস্ক।
তেহরান বলছে, এই সমঝোতা আবু ধাবির কৌশলগত নির্বুদ্ধিতা। আর আঙ্কারা বলেছে, আমিরাতের এই ভণ্ডামির কোনো দিনও ক্ষমা পাবে না।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল এখন পর্যন্ত তিনটি আরব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সমঝোতায় পৌঁছেছে।
১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডানের পর বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের সমঝোতায় পৌঁছার কথা জানানো হয়। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছার চুক্তিতে সই করেছে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও ট্রাম্প এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এই বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে বলে বিশ্বাস করেন তারা।
চুক্তির আওতায় ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিশাল অঞ্চলে বসতি স্থাপন স্থগিত করবে। এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনো আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবিলায় ইসরায়েলের সঙ্গে এসব দেশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।
এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। হামাস বলছে, আমিরাত ফিলিস্তিনি জাতির পিঠে ছুরি বসিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শুধু ইহুদিবাদী ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে প্রকাশ্য স্বীকৃতি প্রদানের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয় ও সাহসী পদক্ষেপ। রাষ্ট্রীয়ভাবে এ ধরনের একটি পদক্ষেপ জরুরি ছিল।’
বাইডেন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেলেও তিনি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে সমর্থন করবেন না। বাইডেন বলেন, ‘বসতি স্থাপন এমন একটি ঘটনা যা শান্তি বিনষ্ট করছে। আর সে কারণে আমি এখনো এর বিরোধী এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও এর বিরোধিতা করে যাব।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন