পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার কাশ্মীর নিয়ে বিবাদের জেরে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি) ভেঙে দেওয়ার আহবান জানিয়েছিল সৌদি আরবের কাছে। ভারতীয় মিডিয়ার ধারণা তারই প্রেক্ষিতে এধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকতে পারে সৌদি আরব। দি ওয়াল/এরাবিয়ান বিজনেস
এমনিতে সৌদি সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ ভাল। বিভিন্ন সময় সংকটে নগদ অর্থ সহায়তা দেশটিকে দিয়ে আসছে সৌদি আরব। প্রবল অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচতে ২০১৮ সালে সৌদি আরবের থেকে ৬.২ লাখ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল পাকিস্তান। ওই ঋণের শর্ত ছিল ইসলামাবাদকে সৌদি আরব বছরে ৩.২ লাখ কোটি ডলার মূল্যের তেল ধারে সরবরাহ করবে। কিন্তু সেই চুক্তির মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হলেও তা নবায়ণ করেনি রিয়াদ।
তেলের দর পতন ও এবার প্রতীকী হজ হওয়ায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে প্রথমবারের মত সৌদি আরবকে ১৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে হয়েছে প্রথমবারের মত। সৌদি ও বিশে^র সর্ববৃহৎ কোম্পানি আরামকো’র অর্ধেক লাভ হ্রাস পেয়েছে। সুতরাং পাকিস্তানকে ধারে তেল দেয়া সৌদি আরবের জন্যে কঠিন হয়ে পড়েছে।
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক। এ কারণেও ইসলামাবাদ থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাচ্ছে রিয়াদ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোগান ওআইসির প্রধানের পদে বসতে চাইছেন। সৌদি ওআইসির কর্তৃত্ব ছাড়তে মোটেও রাজি নয়।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন